সাম্প্রতিক সময়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়া নিয়ে সারাদেশের মানুষ হতাশাজনক জীবন যাপন করছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এ বিষয়কে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত হচ্ছে। এ সমাবেশ গুলোতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ক’টূক্তিমূলক আলোচনা ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমে। এমনি এক সংবাদ সম্মেলনে, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা( Reza ) কিবরিয়ার বক্তব্য আলোচনায় উঠে আসে।
আমরা একটি অমানবিক, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অকেজো স্বৈরাচারের মধ্যে বাস করছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তাদের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ আসবে এবং বাংলাদেশের( Bangladesh ) মানুষ এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ল”ড়াই করবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া( Tafazzal Hossain Manik Mia ) হলে এক সেমিনারে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা( Reza ) কিবরিয়া এসব কথা বলেন।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি নয়াপল্টনে প্রীতম জামান টাওয়ারে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রেজা( Reza ) কিবরিয়া একই কথা বলেছিলেন। একই দিনে রেজা ( Reza ) কিবরিয়া সাত সাবেক ও বর্তমান র্যাবের( Radhab ) ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে। র্যাবের ( Rab ) এ প্রসঙ্গ টেনে রেজা ( Reza ) বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়নি, আরো নিষেধাজ্ঞা আসছে। আপনারা নিশ্চিত হতে পারেন যে আরও নিষেধাজ্ঞা আসবে। এখন শুধু সরকারই বিপদে নেই, দেশও বিপদে পড়েছে। সরকারও আওয়ামী লীগের ( government also belongs Awami League ) শাসনের অবসান ঘটবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে এবং যারা এই সরকারের ( government ) পক্ষে এত দিন কাজ করেছে, মানুষ অপহ’রণ করেছে, তারা এখন চিন্তিত।
আজকের সেমিনারে কিবরিয়াপুত্র সরকারের( government ) সমালোচনা করে বলেন, “এ দেশে দ্রব্যমূল্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা অন্যায়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকিং খাতে লুটপাট করেছে। এসব মানুষের সামনে তুলে ধরা পেশাজীবীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
পেশাজীবীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে বিএনপির( BNP ) ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ( Shawkat Mahmood ) বলেন, রাজনীতিবিদ না পেশাজীবীদের আ’ন্দোলন কে করবে সেটাই প্রশ্ন। পেশাজীবীরা আন্দোলনের সহায়ক শক্তি। তারা এক ধরনের স্ফুলিঙ্গ তৈরি করতে পারে। তবে এই স্ফু’লিঙ্গের পরিণতি রাজনীতিবিদদের হাতে। পেশাদাররা স্থির হয়ে বসে থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ সরকারকে পতন করতে হবে। আমরা আন্দোলন করব। এই আন্দোলন জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম গড়ে তুলবে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ বলেন, দেশের ছোট-বড় আন্দোলনের ইতিহাসে পেশাজীবীরা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। আন্দোলনের পরিস্থিতি, পরিবেশ পাকিস্তান আন্দোলনেও ছিল। তবে বর্তমানে তা নেই। দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার করতে হবে। অন্যথায় সমস্যার সমাধান হবে না।
সেমিনারে মূল বক্তব্য পাঠকালে পেশাজীবী আন্দোলন বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, টিসিবির ট্রাকের লাইনে কারা দাঁড়িয়ে আছে তা দেখলেই বোঝা যাবে দেশের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ মানুষকে গ্রেফতার ও মারধর করা হচ্ছে। দেশকে দু’র্বৃত্তায়নের হাত থেকে বাঁচাতে পেশাজীবীরা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামবেন এটাই সবার প্রত্যাশা।
উল্লেখ্য, দেশের সকল মানুষকে নিয়ে এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা। অতঃপর রেদওয়ান আহমেদ জানান, মাত্র দুই বছর জাতীয় সরকার ক্ষমতায় আসলে এ সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। টিসিবির পণ্য নিয়েও নানা সমালোচনা করেছেন সাধারণ জনগণ। তাদের বক্তব্য মতে টিসিবির পণ্য বিতরণেও দুর্নীতি, বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বারবার লাইনে দাড়িয়ে টিসিবির পণ্য ক্রয় করে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ করেছেন তারা। টিসিবির পণ্য যাদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে তাদের মধ্যেই কিছু লোক এসব দুর্নীতির সাথে জড়িত বলে মনে করছেন তারা।