সম্প্রতি চট্টগ্রামে একটি চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী সাত বছর বয়সী একটি মেয়েকে খু”/নের ঘটনা ঘটেছে। ঐ শি’শুটির নাম আলিনা ইসলাম আয়াত যাকে খু”/নের পর ছয় টুকরো করেছে ঘা”/তক। এরপর তার দেহের টুকরাগুলো সাগরে ভাসিয়ে দেয় বলে জানায় ঘটনার অন্যতম আসামি আবির। এই ঘটনায় যে মামলা দায়ের করা হয়েছে সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক এবং সেই সাথে সমালোচনা। আসা’মি গ্রে”প্তার হয়েছেন ঠিকই কিন্তু দুই দিন পর ঐ আসামিকে ‘অজ্ঞাতনামা’ উল্লেখ করে সমালোচনার মুখে পড়েছে মামলাটি।
বিজ্ঞ কৌঁসুলির মতে, অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করার পরও দায়ের করা মামলায় তাকে অজ্ঞাত দেখানো হওয়ায় আসামি বিশেষ সুবিধা পাবেন।
সিএমপির বন্দর জোনের উপ-কমিশনার সাকিলা সুলতানা বলেন, “অয়ন নিখোঁজ হওয়ার পর ইপিজেড থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিটি মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে এবং আসামির নাম অজ্ঞাত করা হয়েছে। ‘অজ্ঞাত’ আসামি উল্লেখ করার কারণে মামলার মেরিট নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।’
তবে মানবাধিকার নেতা ও চট্টগ্রাম বারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান বলেন, আসামির তথ্যের ভিত্তিতে আয়াতের নিথর দেহ উদ্ধার ও হ”/ত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অ”/স্ত্র উদ্ধার করা হলে তাকে আসামি করা যেতে পারে। মামলা দায়েরের সময় নাম উল্লেখ না করায় আসা’মিরা বিচারে বিশেষ সুবিধা পাবেন। এ ধরনের কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে অয়নের নিথর দেহ উদ্ধারের পর নগরীর ইপিজেড থানায় একটি হ”/ত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার বাদী প্রয়াত শি”/শু আয়াতের বাবা সোহেল রানা। যাতে আবির মিয়ার নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আ’সামি করা হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার রাতে আবিরকে শনাক্ত করে গ্রে”ফতার করে পিবিআই। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অয়নের দেহের ছয় টুকরো উদ্ধার করা হয়। আয়াত হ”/ত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অ”/স্ত্র ও কা’টার যন্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে আয়াতের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত আবির মিয়াকে দুই দিনের রিমা”ন্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে আদালত দুই দিনের রিমা”ন্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, আবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমা”ন্ডে নেওয়া হয়েছে। শুনানি শেষে দুই দিনের রিমা”ন্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় অয়ন। এ ঘটনার পর তার বাবা সোহেল রানা ইপিজেড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের ১০ দিন পর আয়াতের টুকরো টুকরো দেহ উ’দ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবির মিয়া নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত আবির ঘটনাটি বেশ কৌশলে ঘটিয়েছেন। তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আবির জানিয়েছে, সে সকল ধরনের আলামত নষ্ট করেছে ক্রাইম পেট্রল দেখে এবং সেই সাথে সে কীভাবে ঘটনা ঘটাতে হবে সেটাও সেখান থেকে শিখে নিয়েছে। ১৯ বছর বয়সী আবির কীভাবে এমন ঘটনা ঘটালো সে বিষয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে। আবির ঘটনার পর নিখোজ আয়াতের পরিবারের সদস্যদের সাথে আয়াতকে খুঁজতে বের হয়।