চট্টগ্রাম জেলার ইপিজেড থানা এলাকায় একটি চাঞ্চল্যকর হ”/ত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ঘটনার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি বেশ চতুরতার কৌশল নেয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না ঐ ঘা”তকের। শেষ পর্যন্ত পিবিআই পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ঐ ব্যক্তি। আলিনা ইসলাম আয়াত নামের পাঁচ বছর বয়সী একটি কন্যাশি”/শু নিখোঁজ হওয়ার পর এই ঘটনার রহস্য বের করতে সক্ষম হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মূলত খু”/নি আবির আলীকে গ্রেফ’তারের পরই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। কিন্তু গ্রেফতারের আগে আয়াতকে শ্বাসরোধ করে ৬ টুকরো করে ঐ দুর্ধ”/র্ষ আবির আলী। আয়াতের নিথর দেহের টুকরোগুলো এখনো পাওয়া যায়নি। টুকরোগুলো উদ্ধারে সৈকতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক ইলিয়াস খান দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
ঘা”/তক আবির আলী একজন পোশাক শ্রমিক। সে রংপুর তারাগঞ্জ এলাকার আজমলী আলীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। এর আগে অভিযুক্ত আবির নিথর করা আয়াতের নানার বাড়িতে ভাড়া থাকত।
আয়াতের স্বজনরা জানান, আয়াত নিখোঁজ হওয়ার পর ঘা”/তক আবিরও তাদের বাড়িতে আসে। তিনি আয়াতের বাবা-মাকে ধৈর্য ধরতে বলেন। এমনকি আবির নিজেও আয়াতের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন। যার কারণে সে সন্দে”হের ঊর্ধ্বে ছিল।
আয়াতের আত্মীয়দের ঐ চতুর আবির বলেন যে, নিখোঁজ হওয়ার দিনে তিনি আয়াতের সাথে দেখা হয়েছিল। তাকে আদর করে ছেড়ে দিয়েছিলেন। আয়াতের স্বজনরা পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পিবিআই আবিরকে সন্দে’হ করে।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক ইলিয়াস খান জানান, ঘটনার দিন বিকেলে আবির আলী মুক্তিপণের জন্য আয়াতকে অপ”/হরণ করে। পরে আয়াত চিৎ”/কার করলে তাকে শ্বাসরোধ করে নিথর করে। পরে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ৬ টুকরো করে। তারপর কাট্টলীর সাগরপাড়ে ফেলে দেয়। গ্রেপ্তারের পর আবির আলী সবকিছু স্বীকার করে নেয়।
তিনি জানান, আবির আলীর বাড়ি থেকে আয়াতের নিথর হয়ে থাকা দেহ’টি টুকরো টুকরো করার জন্য ব্যবহৃত ছু”/রি ও অ্যান্টি-কাটার উদ্ধার করা হয়েছে। এখন আমরা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উদ্ধারের জন্য সৈকতে আছি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার নয়ারহাট পাওয়ার অফিস এলাকায় বাসা থেকে পাশের মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হন আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন সোহেল রানা যিনি ঐ কন্যা সন্তানের বাবা, তিনি তার মেয়েকে না পেয়ে ইপিজেড থানায় গিয়ে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন কিন্তু এরপরও আয়াতের কোনো সন্ধান পাওয়া যায় না। এই ঘটনাটি সেই সময় দেশের একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদ বিভাগে খবরটি বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়। শেষ পর্যন্ত নিখোজ হওয়ার ৯ দিন পার হওয়ার পর আয়াতের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাটির রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হলো পুলিশ।