গতকাল অস্ট্রেলিয়ার এডিলেডে ইতিহাস লিখতে লিখতেও লেখা হলো না বাংলাদেশের। অল্পের জন্য মিস হয়ে গেলো বিশ্ব কাপে ভারতকে হারানোর সাধ নেয়া। তবে এই ম্যাচটি যত না আলোচনা ছড়িয়েছে তার থেকে বেশি ছড়িয়েছে সমালোচনা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের গ্রুপ টু-তে বাংলাদেশ-ভারত টাই দুই দলের বাইরে আরও একজন খেলতে দেখেছে। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতকে জয়ী তিনিই বলে গুঞ্জন।
অ্যাডিলেড ম্যাচে ভারতের জয় নিয়ে বাংলাদেশের লাখো ক্রিকেটপ্রেমী সান্ত্বনা নিতে পারেন সেদেশের মিডিয়া থেকে শুরু করে অনেক ক্রিকেট পণ্ডিতই। তাদের দাবি, কৌশল অবলম্বন করে বাংলাদেশকে পরাজিত করা হয়েছে।
এর আগে ব্যাটিং করে, ভারত লড়াই করেছিল এবং বিরাট কোহলির ধারাবাহিক পারফরম্যান্সকে পুঁজি করে, কিন্তু দুই বাংলাদেশি ওপেনার জবাব দিতে উড়ন্ত সূচনা করেছিলেন। বৃষ্টি না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখে লিটন ও শান্তর ব্যাট।
তারপর এলো বৃষ্টি। খেলার মধ্যে হ্রাস. তারপর আবার খেলা শুরু হয়। অ্যাডিলেডের আকাশে তখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। অধিনায়ক সাকিবের আপত্তির পর আম্পায়াররা আবার খেলা শুরু করেন। ফাইনালে নতুন লক্ষ্যে পথ হারায় বাংলাদেশ, ম্যাচ জিতেছে ভারত।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ জেতাতে কোন ভারতীয় ক্রিকেটার মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন তা নিয়ে তর্ক করা যায়। কিন্তু প্রথম এগারোতে না থেকে আরও একজন যে কাজটি করে ফেলেছেন তা সারা ভারতের মন জয় করেছে। তার নাম রঘু রাঘবেন্দ্র। ভারতীয় দলের থ্রো ডাউন বিশেষজ্ঞ।
বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারের পর হঠাৎ করেই বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির প্রায় ৫০ মিনিট পর দ্রুত খেলা শুরু করতে চান আম্পায়াররা। ভেজা মাঠ শুকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু পুরোপুরি সম্ভব নয়। ফলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে রোহিতের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
ঠিক এই সময় রঘু খেলা শুরু করে। ম্যাচ চলাকালীন বোলারদের নির্দেশনা দেওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ নেই তার। কিন্তু বুধবার পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল এবং হাতে ব্রাশ নিয়ে বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
ভেজা মাঠে ক্রিকেটারদের জুতার নিচে কাদা উঠছিল। কাদা জমলে জুতা ভারী হয়ে যেতে পারে, ক্রিকেটারদের দৌড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। সেই কথা মাথায় রেখে ব্রাশ দিয়ে রাহুল ও কোহলির জুতা পরিষ্কার করছিলেন রঘু।
প্রসঙ্গত, এ দিকে এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি কতটা ন্যায়সঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মনে। এভাবে ম্যাচ চলাকালীন ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠের বাইরে থেকে ফিল্ডারদের পরিবেশন করা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশ যদি একই সেবা পেত তাহলে লিটন দাস রান আউট হতেন না।