আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানানো হয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। তবে বিরোধী দল বিএনপি পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিবে না দলটি। তাছাড়া তাদের দাবি নির্বাচন কমিশনের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় দলীয় সরকারের অধীনে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পদ ছেড়ে দিয়ে নিয়ে যে মন্তব্য করলেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রয়োজনে পদ ছেড়ে চলে যাব। আমাদের অনুরোধ করতে হবে না। আমরা আমোদ ফুর্তি করতে আসেনি। এ নিয়ে বিএনপিকে চিন্তা করতে হবে না।
রোববার (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, সব বিতর্ক এড়িয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে সবার মতামতের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় তিনি সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে অনিয়ম ও পেশিশক্তির প্রভাব কমবে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, কোনো দল এককভাবে ৩০০ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে সেটা গণতন্ত্র নয়। র ফলে স্বৈরতন্ত্র মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক ঐক্য।ঐক্য গঠনে যেকোনো অরাজনৈতিক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অবদান রাখতে পারেন বলে মনে করেন সিইসি।
ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ রয়েছে। সেগুলো সমাধানে কাজ করা হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে না। কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নের মানসিকতা এখনো গড়ে ওঠেনি। মামাঠের সহিংসতা বন্ধ করার দায় ইসির নয় রাজনৈতিক দলগুলোর। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন দায় বর্তমান কমিশনের নয়। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য না করলে নির্বাচনের পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে বলে জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ভোটের মাঠে কেউ তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে রাইফেল বা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনে দায়িত্ব থেকে সড়ে দাড়াতে রাজি বলে মন্তব্য করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচনে সকল দলকে অংশ নিয়ে গনতন্ত্র সচল রাখার কথা জানান তিনি।