বাংলাদেশের ঢাকাই সিনেমার জনপ্রীয় অভিনেতা শাকিব খান। যাকে বাংলাদেশের কিং খানও বলা হয়ে থাকে। সম্প্রতি তিনি আলোচনায় আসে দেশ ত্যাগের মত একটা খবর নিয়ে। সেই বিষয়ে এবার এই তারকা মুখ খুললেন। গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন এসব তথ্য। জনপ্রিয় তারকা অভিনেতা শাকিবকে নিয়ে বেশকিছুদিন ধরেই গুঞ্জন চলছে দেশ ছাড়ার মতো ঘটনার। অনেক জায়গায় খবর রটেছে তিনি দেশ ছেড়ে আমেরিকাতে পাড়ি জমাচ্ছেন। এবার খোদ নিজেই প্রকাশ করলেন সেটা, তিনি দেশ ছেড়ে কোথাও যাচ্ছেন না।
দেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা শাকিব খান এই খবরটিকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলেছেন। তবে করোনার আগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডের আবেদন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন শাকিব খান। যুক্তরাষ্ট্রে থেকে তিনি পরিষ্কার করে বলেন, ‘যারা আমার যুক্তরাষ্ট্রে থাকা নিয়ে কথা বলছে, তারা আসলে এই প্রক্রিয়া জানেই না।’
শাকিব খান এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, ‘যারা আমার যুক্তরাষ্ট্রে থাকা নিয়ে নানান কথা বলছেন, তারা আসলে এই প্রক্রিয়া না জেনেই কথা বলছেন। আমার এখানে স্থায়ী বসবাসের কথা উঠছে কেন? আমি তো চাইলে আগামী মাসেই দেশে ফিরতে পারি। দেশান্তরী হওয়ার মতো কিছু তো ঘটে নাই। আমি এখানে কাজের মধ্যে আছি। যারা বড় আয়োজনে সিনেমা বানায় তারা বোঝে প্রি-প্রোডাকশনে কত মাস লাগে! আমেরিকার মতো দেশে আমি প্রথম সিনেমা করতে যাচ্ছি, সবকিছু গোছাতে গোছাতে তো আমার দিনরাত পার হয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকার গ্রিন কার্ড দেশটির সরকার সম্মান জানিয়ে বিভিন্ন দেশের সেলিব্রেটিদের দিয়ে থাকে। এই সম্মানটা সবাইকে দেওয়া হয় না। যাদের দেয় তারা সম্মানিত হয়ে গ্রহণ করেন। আর কোভিডের আগে দেশে থাকতে অন্য প্রক্রিয়ায় আমার গ্রিন কার্ড ঠিক হয়ে ছিল। তার মানে তো এই না যে আমি আমার দেশ ছেড়ে দিচ্ছি। এখানে এসে শুধু গ্রহণের প্রক্রিয়া ছিল। এজন্য তো বছরের পর বছর থাকতে হয় না। বাংলাদেশের অনেক টপ মোস্ট সেলিব্রেটি আগে থেকে গ্রিন কার্ড পেয়েছেন। তারা বাংলাদেশে বাস করে নিয়মিত কাজ করছেন। বলিউডের বহু সেলিব্রেটিদের গ্রিন কার্ড রয়েছে। এ ছাড়া দুবাই, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতে তাদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবই আছে। কিন্তু তারা ইন্ডিয়াতে বসবাস করে নিয়মিত কাজ করছেন। তাহলে আমার এটা নিয়ে কথা উঠছে কেন? কিছু মানুষ সবসময় অপব্যাখ্যা দিয়ে থাকে, বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।’
উল্লেখ্য, ১৬তম চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে অংশ নিয়ে ১২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে যান ‘কিং খান’ খ্যাত শাকিব খান। পরে ঢালিউড ফিল্মস এন্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে অংশ নেন ৫ ডিসেম্বর। দুই অনুষ্ঠানের মঞ্চে শাকিব ঘোষণা দেন, তিনি তার নতুন সিনেমার শুটিং করবেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে। বিশ্বব্যাপী সিনেমা মুক্তির কথাও বলেন এসময়। এজন্য সবকিছু মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রে শুটিংয়ের প্রি-প্রোডাকশন গুছিয়ে নিচ্ছেন তিনি। এরমধ্যে রটে শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্রে চিরদিনের জন্য স্থায়ী হচ্ছেন!
সেলিব্রেটিদের নিয়ে মাতামাতি তো থাকবেই তাও যদি আবার একটু বিতর্কিত কথা তার মুখে শোনা যায়। তাই তো প্রথমেই স্পষ্টভাবে না বলাতে মানুষ ধরে নিয়েছিল শাকিব খান এবার মনে হয় দেশ ছেড়ে চলেই যাচ্ছেন। তবে সব ধোঁয়াশার অবসান ঘটিয়ে তারকা নিজেই প্রকাশ করলেন আসল ঘটনা। স্বস্তি এনে দিলেন গণমাধ্যমে।