সম্প্রতি, আমেরিকার নিউইয়র্কে ( New York, USA ) মাঝে মাঝেই বাংলাদেশীদের উপর হাম/’লার ঘটনা ঘটেছে, যেটা নিয়ে সমালোচনারও সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি ডেমোক্রেট পার্টি’র নজরে পড়ার পর বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নেয় তারা। ডেমোক্রেট পার্টি’র নজরে পড়ার পরে, নতুন আইন পাস করা হয়েছে সেখানে। ডেমোক্রেট পার্টি’র নেতা জানিয়েছেন, বাংলাদেশী আমেরিকান হোক অথবা এশিয়ান আমেরিকান সবার পরিচয় একটাই তারা বর্তমান মার্কিন নাগরিক।
সিনেট নেতা এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির ( Democratic Party ) সিনেটর চাক শুমার ( Chuck Count ) বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ( United States ) বসবাসরত বাংলাদেশিসহ এশিয়ানদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক অপরাধ রোধে নতুন আইন পাস করা হয়েছে। “এশীয়-আমেরিকানদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক অপরাধ” শিরোনামের আইনটি কংগ্রেস দ্বারা পাস হয়েছিল, তিনি নিউইয়র্কে একটি সাম্প্রতিক প্রবাসী অনুষ্ঠানে বলেছিলেন। চক শুমার বলেন, কংগ্রেস ওমেন গ্রেস মেং-এর সঙ্গে কংগ্রেসে ( Congress ) বাংলাদেশিসহ এশিয়ানদের ওপর ঘৃণামূলক হাম”/লার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য কংগ্রেসে ( Congress ) একটি আইন পাশ করা হয়েছে। বিচার বিভাগ এখন সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে। বাংলাদেশীরাও আমেরিকান ( Bangladeshis also Americans ), এশিয়ানদেরও আমেরিকান হিসেবে সব ধরনের সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে।
প্রবাসীদের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করে নিউইয়র্কের ( New York ) সিনেটর বলেন, যতদিন আমি সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা থাকব, ততদিন বাংলাদেশিরা আমার গ্রেট ফ্রেন্ড হিসেবে আমার হৃদয়ে থাকবে। বাংলাদেশী আমেরিকানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আজ আমি এখানে এসেছি। কারণ, আপনি যেমন আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করছেন, আপনি আমেরিকার উন্নয়নেও অবদান রাখছেন। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা মহা’/মারীতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধারে একটি বিল পাস করেছি। সে অর্থে ছোট ব্যবসা, রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে পেয়েছে। আমি নিশ্চিত করতে চাই যে বাংলাদেশিসহ এশিয়ান-আমেরিকানরা বেঁচে থাকার জন্য কিছু অর্থ পায়।
অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন যুব ফোরামের সভাপতি আহনাফ আলম। ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দিন, আজিজ আহমেদ এবং রীনা সাহা লং আইল্যান্ডের কংগ্রেসম্যান টম সুচির কাছ থেকে সম্মাননা পদক গ্রহণ করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সংগঠক ফখরুল আলম, ফাহাদ সোলায়মান, আবদুর রহিম হাওলাদার, মোহাম্মদ আলী, আহসান হাবিব, কাজী আজম, ফিরোজ আলম এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম। উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, আবুল বাশার চুন্নু, শওকত আকবর রিচি, লাবলু আনসার, আবু জাফর মাহমুদ, ইউসুফ চৌধুরী, এম এ হাসান, রাশেদ আহমেদ, রুহুল আমিন, কাজী মনির ও মকবুল হোসেন তালুকদার।
প্রসঙ্গত, নিউয়র্কের বাংলাদেশীদের উপর বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হাম/’লায় বিষয়টি নিয়ে ডেমোক্রেট নেতারা ঘৃণামূলক অপরাধ বলে হিসেবে প্রকাশ করেছেন। তারপর অপরাধের বিরুদ্ধে নতুন আইন পাশ করেছে দেশটির আইন বিভাগ, ভবিষ্যতে যদি এমন কিছু আবার তৈরি হয় সেক্ষেত্রে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এভাবে হুঁশিয়ারি প্রদান করেছেন সিনেট নেতারা। বিষয়টি নিয়ে এখনও অনেক যুক্তি তর্ক চলছে পার্টির ভিতরে।