সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আসে বাংলাদেশের ৭ র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে রীতিমতো গোটা দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক শোরগোল। যদিও র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না প্রশাসন। কিন্তু এদিকে এবার সেই প্রসঙ্গ টেনে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনারা (সরকার) অত্যাচারের ভয় দেখিয়ে বিরোধীদল ও মতকে বন্ধ করতে পারেন, কিন্তু আমেরিকা, জার্মানি, বৃটেনের মুখ বন্ধ করবেন কীভাবে? তারা কি দেখে না? তারা সবই দেখছে। র্যাবের বিরুদ্ধে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কি অযৌক্তিক? তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, জনি, সুমনসহ বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে কালো মিনিবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আশেপাশের লোকজন দেখতে পাচ্ছেন না? দেশের মানুষকে রক্ত দেখাতে পারেন, কিন্তু বিদেশীদের কাছে না।
বিএনপির সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবাসী আজ কঠিন সময় পার করছে। যারা গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য লড়াই করে তারা অকেজো। আজ দেশটি বিশ্বব্যাপী মহামারীর চেয়ে জাতীয় মহামারী দ্বারা বেশি আক্রান্ত। গোটা দেশ আজ অত্যাচার ও অবিচারে জর্জরিত। জাতি আজ আতঙ্কিত। পাক হানাদার বাহিনীর অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে জাতি অস্ত্র হাতে দেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর শাসকশ্রেণীর হাত দেশের মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়। জনগণ যখন পরাধীন ছিল তার চেয়ে এখন বেশি নিগৃহীত। ইয়াহিয়া ও টিক্কা খানও বিরোধী দল ও মতকে ধ্বংস করার জন্য শক্তি প্রয়োগের জন্য বর্তমান সরকারের কাছে পরাজিত হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ৬০ লাখ মানুষ নিখোঁজ হয়। আপনার ডেটা দেখে মনে হচ্ছে আপনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও পাশ করেননি। দুই দিন পরে, সেক্রেটারি অফ স্টেট পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর এক লাখ লোক নিখোঁজ হয়।” প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে মন্ত্রীরা একের পর এক মিথ্যাচার করছেন, ভিত্তিহীন তথ্য দিচ্ছেন।
এদিকে গত বেশকিছু দিন ধরেই রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে সরকারের কাছে কয়েকবার আবেদন করা হলেও এ আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার।