একজন নারী তার পূর্ণ অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তার প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর ৮ মার্চ নারী দিবস পালিত হয়। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। শুরুতে পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকলেও বর্তমানে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নারীরা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে।
নারী দিবসে একজন পুরুষের ভাবনা কী? গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জায়েদ খান বলেন, নারী মায়ের জাতি, বোনের জাতি। নারীর যত্ন এবং ভালবাসায় থাকে। নারীরা বিশ্বাসে বেঁচে থাকে। প্রতি বছর এই দিনে শিক্ষিত ও সচেতন নারী সমাজ সুন্দর আয়োজন করে নারী দিবস পালন করে। বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হয়। প্রান্তিক শ্রমজীবী নারীদের কাছে পৌঁছে দিতে সেই বার্তা প্রচার করতে হবে।
এই নায়ক বলেন, সচেতনতামূলক বার্তা শ্রমজীবী নারীদের কাছে পৌঁছে যায়। তবে এটাকে আরেকটু প্রচারের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে হবে। এখন প্রচারের যুগ। হাতের মুঠোয় পৃথিবী। সবার হাতেই স্মার্ট ফোন আছে। বিশ্বায়নের যুগে নারী দিবসের স্লোগান ও স্লোগান ছড়িয়ে দিতে হবে হাতে হাত।
সময়ের সাথে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। নারীরা ঘরে-বাইরে পুরুষের পাশাপাশি কাজ করছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের প্রতি জিঘাংসা ও কটাক্ষ বেড়েছে। নারীর এই অগ্রগতি কি দুর্গম করে তোলে? এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, এটা হীনমন্যতা, সামাজিক অবক্ষয়। কিছু মানুষ আছে যারা নারীর পথে বাধা সৃষ্টি করে। কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন লোক নারীদের অগ্রসর হওয়াকে ভালোভাবে নেয় না। নারীরা তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়।
জায়েদের মতে, দেশে-বিদেশে তার অগণিত নারী ভক্ত রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যে এই নায়কের বার্তা, নারীরা যেন আমাকে বরাবরের মতো ভালোবাসেন। আমিও তাদের শ্রদ্ধা করি এবং ভালোবাসি। যেহেতু আমি সিঙ্গেল ওই জায়গা থেকে আমার প্রতি তাদের ভালবাসা যেন এরকমই থাকে। আমার ছবি দিয়ে কেউ বালিশে কাভার লাগিয়ে ঘুমাক, কেউ ছবি নিয়ে ঘুমাক। নারী দিবসে নারীদের জন্য এটাই প্রত্যশা আমার।