দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামীলীগ দল ক্ষমতায় থাকায় এই দলের বেশ কিছু নেতাকর্মীরা নানা ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি পদ-পদবি নিয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীরা একে অন্যের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে আলোচনায় উঠে এসেছেন সাবিনা আক্তার তুহিন। এবার তিনি নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোষ্ট দিয়ে এই বিষয়ে জানালেন বিস্তারিত।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে রাজপথে মিছিল করেছি। শৈশব-কৈশোর আমার রাজপথে কেঁটেছে। আপনি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নিজের যা মন চায় করবেন তা আমি কি মেনে নিবো?? আমি তুহিন ভেসে আসি নাই তার জবাব দিবো। আপনি পারলে আমার রাজনীতি বন্ধ করবেন। আমি সামনের কর্মসূচিতে থাকবো দেখি আপনি পথ রুদ্ধ করেন কি করে। আপনার নতুন লাঠিয়াল বাহিনী যারা রাজপথে দুর্দিনে যুব মহিলা লীগ কে এগিয়ে নিতে পারে নাই, আজ তারা গরম ভাত খাবে, তা হবে না।আমার মেয়েদের আরেকবার বইলেন হাত দিতে তখন কি জবাব দেই দেখবেন। আমার কর্মীদের মেরে হাত বড় হয়ে গেছে। তাই না আল্লাহ্ আপনার পতন শুরু করেছে দেখবেন। কত পাপিয়া যে আপনি তৈরি করছেন যাদের এমন সব প্রমাণ আছে মানুষ দেখলে লজ্জায় মুখ লুকাবে। পদ দিয়ে এদের কে অপকর্ম সুযোগ করে দিবেন আবার বলবেন অমুকের সাথে তার ছবি আছে। আমি যাদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি প্রমাণ পাওয়ার পর তাদের আপনি কি করেছেন গ্রুপিং এর জন্য বুকে তুলে নিয়েছেন। পাপিয়া গ্রেফতার আগ মুহূর্তে আপনার বুকেই স্থান নিয়েছিল। টোকন সাহেব বিচার দিল আপনাকে কেনো?? আপনি কেনো তার পক্ষ্যে ফোন দিলেন?? আপনি ২০১৯ সালে গ্রেফতার আগ মুহূর্তে যখন তার আচরণ পরিবর্তনশীল নরসিংদীতে মানুষ আটকিয়েছে তখন আপনি কেনো তাকে জড়িয়ে নিলেন নতুন করে তাকে দায়িত্ব দিলেন??
নরসিংদী কমিটি কি আমার দায়িত্ব প্রাপ্ত এলাকা?? পাপিয়ার সাথে বাংলাদেশের অনেক মানুষের সাথে সামাজিক সম্পর্ক থাকতে পারে তাই বলে তো এরজন্য তাদের জবাবদিহি করতে হয় নাই। জবাবদিহি করতে হচ্ছে আপনি তাকে পদে দিয়েছেন বলে। এতোবড় গুরুত্বপূর্ণ পদে দিবেন তার কোন খবর নিবেন না আর অন্যরা মিশলে দোষ। আমার সাথে তার যোগাযোগ ছিল ২০১৭ থেকে ২০১৮ আর আমার সাথে গ্রেফতার আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ১ বছর যোগাযোগ ছিল না কারণ সে আপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা নরসিংদী তাই আপনার সাথে ছিল। আপনার অধীনে থাকার পর তার চরম অধঃপতন হয়েছে ওয়েসটিনে সে সময় সে রুম নিয়েছে তাই দায় এড়াবেন কি করে। পাপিয়া কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পুনরায় এনে অধিক জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি তবে সব বের হয়ে যাবে।ওয়েসটিনসহ যেসব জায়গায় সে অপকর্ম করেছে সে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ প্রকাশ করা হোক দেখি কে কে জড়িত। আগে নিজের ব্যর্থতা বলেন তারপর অন্যেরটা বলবেন। আমি কখন শরীরে হাত তুলেছি সে জবাব দিতে প্রস্তুত থাকেন আমি এতো সহজে হাল ছাড়বো না। পরিশেষে বলতে চাই যুব মহিলা লীগে আছি, থাকবো।
বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তি রয়ছে যারা কিনা নিজেদের স্বার্থ হাছিলের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। তবে এই সকল অসাধু ব্যক্তিদের জন্য রাজনৈতিক দল গুলোও নানা ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এতে করে দলের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।