নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনকে ঘিরে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহন করেছে। এরই সূত্র ধরে বিএনপির সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে জাতীয়তাবাদী বিএনপি দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এবনং এই দলটির গুরুত্ব পূর্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দলের এমন সিদ্ধান্তকে ঘিরে আক্ষেপ নিয়ে বেশ কিছু কথা জানালেন তিনি।
নাসিকের পরাজিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, যে বিএনপি তাকে নির্বাচনের সময় বরখাস্ত করেছিল, তারা এখন তাকে বহিষ্কার করেছে, মানে তৈমুরকে ভোট দেবেন না। তারাই পল্টন অফিস থেকে আমার অনেক নেতাকে আমার পাশে না থাকার জন্য বলেছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে বিএনপি যে ভোট দেবে, কে দেবে? তাদের কথায় প্রমাণ হয় ভোট নৌকায় যাবে, এটাই তারা চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি কখনো ভাবিনি দলের মহাসচিবের কথা কচু পাতার পানিতে পরিণত হবে। কারণ, মহাসচিব বলেন, বিএনপি দল নির্বাচনে যাবে না, তবে এককভাবে কেউ স্থানীয় নির্বাচনে গেলে দলটির কোনো আপত্তি থাকবে না। কেন্দ্র বা দলের পক্ষ থেকে আমাকে একবারও বলা হয়নি আপনি নির্বাচন করবেন না। তখন দলের যারা পল্টন অফিসে বসে নারায়ণগঞ্জের নেতাদের আমার নির্বাচনে যেতে নিষেধ করেছেন তারা নিশ্চয়ই নৌকায় ভোট চেয়েছেন।
তৈমুর বলেন, রাজপথ আন্দোলনের সংগ্রাম থেকে দল আমাকে মুক্ত করেছে, এখন আমার সামনে দুটি চাকরি পেয়েছি। একটি হলো দেশনেত্রী খালেদার ভালো চিকিৎসা এবং ভোট ইভিএমের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা। আমি খালেদাকে মায়ের মতো শ্রদ্ধা করি। মঙ্গলবার বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর বুধবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর মাসদাই এলাকায় নিজ বাসায় গণমাধ্যমের সামনে এসব কথা বলেন তৈমুর আলম খন্দকার। অ্যাডভোকেট তৈমুর বলেছেন, দল থেকে বহিষ্কার হলেও তিনি দল পরিবর্তন করবেন না বা অন্য কোনো দলে যোগ দেবেন না। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করব। ইতিহাসে আপনার নাম লেখা থাকবে। যদি আপনি এটি অনুমতি না দেন, ভবিষ্যতই বলে দেবে কি হবে।
বর্তমান সময়ে বিএনপি দলের বেশ কিছু নেতাকর্মীদের মাঝে নানা ধরনের অস্তিরতা বিরাজ করছে। এবং বেশ কিছু নেতাকর্মী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে। তবে দলটি শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। এবং এই সকল নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রহন করেছেন নানা ধরনের পদক্ষেপ। এমনকি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করেছে দলটি।