ভালো একটি সুষম আয়ের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ বিদেশে পাড়ি জমায়। বলতে গেলে বিশ্বের অনেক দেশেই রয়েছে বাংলাদেশীদের ( Bangladeshis ) বসবাস। বিশেষ করে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের ( Bangladesh Malaysia ) অনেক মানুষ আছে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়ায় ( Malaysia ) লোক নেওয়ার বেশ কড়াকড়ি করেছে মালয়েশিয়ার সরকার। আর সেই বিষয়কে কেন্দ্র করেই ঢাকায় ( Dhaka ) হাজার রিক্রুয়েটিং এজেন্সিরা মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানানের ( Datuk Seri M Saravananer ) বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঢাকায় বিক্ষোভ হলে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা আরও কমানোর হু/মকি দিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান। ঢাকায় সফররত মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বুধবার এমন হু/মকি দিয়েছেন বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
মন্ত্রী সারাভানান আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) ঢাকায় একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। এ বৈঠককে সামনে রেখে বাংলাদেশের সীমিত সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সারাভানানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রীর বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয়েশিয়াকিনি জানিয়েছে, ঢাকায় সারাভানানের বিরুদ্ধে কোনও বিক্ষোভের পরিকল্পনা হয়ে থাকলে তাকে তিনি ভয় পান না। তিনি বলেছেন, ‘আমি ভয় পাই না। তারা (বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি) যতই হু/মকি দেবে, ততোই নিষিদ্ধ করবো।’
বাংলাদেশি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক সরবরাহের জন্য উন্মুক্ত বাজারের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ করার হুমকি দিয়েছে প্রায় ২ হাজার রিক্রুটিং এজেন্সি।
গত বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর ব্যাপারে দুই দেশের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। যে চুক্তির মেয়াদ রয়েছে আগামী ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। চলতি বছর শুরুর দিকে এম সারাভানান বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানান, বাংলাদেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা হবে না। বাংলাদেশ ২৫টি নির্বাচিত রিক্রুটিং এজেন্সি ও ২৫০টি সাব এজেন্টের মাধ্যমেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারবে। তবে মন্ত্রী চিঠির জবাবে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা আইন এবং আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়।
স্মারক দুই দেশের দায়িত্বের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে; যার মধ্যে মালয়েশিয়ার রাজনীতির সমন্বয়ে আত্মক্রুটির পাশাপাশি দুই দেশের এজেন্সিপাল দায়িত্বশীলদের কথাও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন করাণে মালয়েশিয়তে জনবল নেওয়া বন্ধ রয়েছে এবং তার সাথে সাথে কঠোর নিয়ম কানুনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। মালয়েশিয়া বলতে গেলে একটি উন্নত রাষ্ট্র। তারা জনবল নিয়ে থাকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে। কিন্তু সেই জনবল রিক্রুইট বন্ধ থাকায় খেপেছেন বাংলাদেশের রিক্রুইটিং এজেন্সি। রিক্রুইটিং না হলে অবশ্য তাদেরও গুনতে হচ্ছে অনেক আর্ঠিক ক্ষতির।