সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। এই স্বল্প সময়ের পথ চলায় বিশ্ব দরবারের বাংলাদেশ অর্জন করেছে ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের এই সফলতা দেখে বিশ্বের অনেক দেশ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এমনকি ইতিমধ্যে অনেক দেশ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে মোটা অর্থের বিনিয়োগ করছে। সম্প্রতি এই বিনিয়োগকে ঘিরে বেশ কিছু কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বিদেশে বিনিয়োগের পথ সুগম করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিদেশেও আমরাও বিনিয়োগ করতে পারি। আমাদের ব্যবসায়ীরাও বিনিয়োগ করতে পারেন, বেসরকারি খাতও বিনিয়োগ করতে পারে। আমি ভবিষ্যতে সেই সুযোগটাও সৃষ্টি করব। তার জন্য আমরা প্রস্ততি নিচ্ছি। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এ পর্যন্ত ১৭টি কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে বিদেশে বিনিয়োগ করছে। এসব কোম্পানির বিনিয়োগ প্রায় ৫১১ কোটি টাকা।
বিদেশে বিনিয়োগ সহজ করতে এরইমধ্যে একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে সরকার। সব পক্ষের মতামত নিয়ে তা চূড়ান্ত করার কথা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, আমাদের দেশে যেমন বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে, আমরাও অন্য দেশে বিনিয়োগ করতে পারি। কারণ আমরা তো উন্নয়নশীল দেশ হয়ে গেছি। কাজেই আমাদের শিল্প উদ্যোক্তারা নিজের দেশে না, বিদেশে বিনিয়োগ করেও সেই পণ্য সেখানে বাজারজাত করবেন। সেই ব্যবস্থাটা আমরা করে দেব।
বর্তমান সময়ে দেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামীলীগ দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এবং দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রহন করেছেন বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ। এরই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা।