জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়াল যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেননি। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পরে মৃত্যুবরণ করেন।
একেএম আউয়ালের আপন মেঝ ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র মো. হাবিবুর রহমান মালেক মঙ্গলবার দেওয়া এমন বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
হাবিবুর রহমান মালেক বলেন, ‘একেএমএ আউয়াল সাঈদীর মামলার সাক্ষী ছিল কিন্তু সাক্ষী দেয়নি। বালিপাড়ায় গোপনে গোপনে কিছু লোক আছে তারা কয় সাঈদীর মামলায় সাক্ষী দেছে। আপনাদেরক ভুল বুঝাতে পারে যে সাঈদীর জেল হবার কারণ আউয়াল সাহেবের সাক্ষী। বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আউয়াল সাহেব সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়নি। ’
তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাম রেজাউল করিমের নাম উল্লেখ করে বলেন, তিনি সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে ওকালতি করেছেন। আর আমার ভাই যখন এমপি ছিলেন তখন সাঈদীর ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছে।
মেয়র আরো বলেন, “সাঈদী সাহেবের বাবা ইউসুফ মৌলভীকে আমরা ‘নানা’ বলে ডাকতাম। সাঈদী সাহেব বা তার পরিবারের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আউয়াল সাহেব যখন এমপি তখন সাঈদীর ছেলে (মাসুদ সাঈদী) উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছে আমরা বাধা দেয়নি। ’
রেজাউল করিমের সমালোচনা ও সাঈদীর প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি তার ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঈগল প্রতীকের প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের কাছে ভোট চান।