আবারও বিনা ভোটে ক্ষতায় আসার জন্য সংবিধান নামক কোবচের আশ্রয় নিতে চায় আওয়ামীলীগ সরকার। যার জন্য নতুন ছক করে পুরনো গেম খেলতে চায়।কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র যার প্রমাণ মিলছে স্বয়ং সরকার প্রধানের বক্তব্যে।আবারও জনগণের সাথে প্রতারণার জন্য নতুন পরিকল্পনা করেছে।বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
আমি নিজে মফস্বলের ছেলে। মফস্বল শব্দটা একটা স্থানকে নির্দেশ করে। কিন্তু “মফস্বলি” শব্দটা মফস্বল থেকে আগত বুঝাতে ব্যবহার করা হয়না। ইংরেজিতে দুইটা শব্দ আছে Provincial আর Parochial এই দুইটা শব্দে মফস্বলির অর্থ সবচেয়ে ভালো বুঝা যায়। যার মানে হচ্ছে এমন একটা মানুষ যে সভ্য পৃথিবীতে বাস করার উপযুক্ত না। বাংলায় আমরা বলি ছোটলোক। নীচ মনের মানুষ, স্বার্থপর, নিন্দুক, কৃপন, অবিশ্বস্ত, অদক্ষ, অপরিশীলিত। আমার ভাষায় আখ্যাস্টা। ইংরেজিতে আরেকটা শব্দ আছে Rustic এর অর্থ হচ্ছে গ্রাম্য। ইংরেজিতে Rustic কোন নেগেটিভ শব্দ না। এটা বুঝায় সারল্য।
শেখ হাসিনা, আর তার পরিবার এই মফস্বলি স্বভাবের উপযুক্ত উদাহরণ। এরশাদও ছিলো মফস্বলি। আমরা দুইজন রাষ্ট্রনায়ক পেয়েছিলাম যারা পরিশীলিত বিশ্বনাগরিক ছিলেন, জিয়া আর খালেদা জিয়া। খন্দকার মুশতাক ছিলো Rustic, জাস্টিস শাহাবুদ্দিন Rustic কিন্তু চুপ্পু মফস্বলি। হামিদও Rustic না সে মফস্বলি। জিল্লুর রহমান ছিলেন Rustic। আপনি জিল্লুর রহমানের সাথে খালেদা জিয়ার ইন্টারএকশনটা খেয়াল কইরেন। খালেদা জিয়ার সাথে জিল্লুর রহমানের একটা আন্তরিক সম্পর্ক ছিলো।
একজন পরিশীলিত মানুষ একজন Rustic এর সাথে চলতে পারে কিন্তু মফস্বলির সাথে সে কোনভাবেই চলতে পারবে না। মফস্বলি মানুষ এমন কিছু করবে যেই পর্যায়ে একজন পরিশীলিত মানুষ নামতেই পারবে না।
মফস্বলিরা ক্ষমতাবান হলে ভয়ংকর বিপদ। পুরা সমাজ মনে করে মফস্বলিপনাই সাফল্যের চাবিকাঠি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের বড় কারণ মফস্বলিপনা। আমি বিএনপিকে ব্লাংক চেক দেবোনা। বিএনপি ২০০৬ সালে নিজের পছন্দমতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বানানোর যেই ক্যারিকেচার করেছিলো সেটাও ছিলো মফস্বলিপনা। কোন দরকার ছিলোনা সেই ক্যারিকেচারের। এই মফস্বলিপনা বিএনপিকে শক্তি দেবেনা, তার সর্বনাশ করবে। বিএনপি চাইলেও আরেকটা আওয়ামী লীগ হতে পারবে না। বিএনপি ২০০৬ সালে আরেকটা আওয়ামী লীগ হইতে গেছিলো।
দুনিয়ার সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে চলতে গেলে প্রথমেই যেটা দরকার সেটা পরিশীলন। দুনিয়াতে গ্রাম্য বা Rustic মানুষের জায়গা আছে। প্রভিন্সিয়াল বা মফস্বলিদের জায়গা নেই।
খালেদা জিয়া হাসিনার মফস্বলি নীচতার ভিক্টিম। হাসিনার বাপ টুঙ্গিপাড়া ছেড়ে ধানমণ্ডি বাসা বানিয়েছিলো। কিন্তু তার পরের দুই প্রজন্ম মফস্বলিপনা ছাড়তে পারেনি।
যেই ধারাবাহিক অন্ধকার মাতৃগর্ভ হইতে সংগ্রহ করিয়া দেহের অভ্যন্তরে লুকাইয়া মুজিব ও হাসিনা পৃথিবীতে আসিয়াছিল এবং যে অন্ধকার তাহারা সন্তানের মাংসল আবেষ্টনীর মধ্যে গোপন রাখিয়া যাইবে তাহা প্রাগৈতিহাসিক, পৃথিবীর আলো আজ পর্যন্ত তাহার নাগাল পায় নাই, কোনোদিন পাইবেও না।