বাংলাদেশের অন্যতম বড় একটি সম্পদ হলো সুন্দরবন। দেশের অনেক কিছুই রক্ষা করে থাকে এই সুন্দরবন। আর এই কারনেই সুন্দরবনকে নিয়ে বেশি মাথা ঘামিয়ে থাকে সরকার। এবার এই সুন্দরবন নিয়ে কথা বললেন দেশের আইজিপি বেনজির আহমেদ। সুন্দরবনের খালে বিষ, চাইনিজ জাল ও ইলেকট্রনিক শক দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, এসব পদ্ধতিতে মাছ ধরলে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী ধ্বংস হয়।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরায় স্টার সিনেপ্লেক্সে র্যাব প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর প্রিমিয়ার শোতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, সুন্দরবনে মাদক দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে মৎস্যমন্ত্রীকে বলেছি, স্যার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। মন্ত্রী আমাকে বলেছেন, তিনি মৎস্যমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রী নন। পানিসম্পদমন্ত্রীকে বলা হলে তিনি বলেন, এটা পরিবেশগত বিষয়।
মঞ্চে বসা প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে আইজিপি বলেন, সুন্দরবনে অবৈধ মাছ ধরা বন্ধে প্রয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করতে হবে এবং আইন পরিবর্তন করতে হবে।
আইজিপি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা এখন নানাভাবে আন্তর্জাতিক। আমরা আমাদের অর্জনে গর্বিত হতে পারি। তবে সুন্দরবনে বিষমুক্ত মাছ ধরার বিষয়ে আমাদের কিছু করা দরকার। সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
পুলিশ প্রধান বলেন, দস্যুমুক্ত হওয়ার পর সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে, হরিণের সংখ্যা বেড়েছে, পর্যটকের সংখ্যাও বেড়েছে। এছাড়া বন্ধ হয়েছে বিভিন্ন পশু-পাখি পাচার।
আগে বাঘ, হরিণ ও কুমিরের চামড়া পাচার হতো। এগুলো বন্ধের ফলে সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়েছে বিপুল সংখ্যক পশু-পাখি।
আইজিপি বলেন, আমি দেখেছি ভালো সিনেমা হলে দর্শকের অভাব হয় না। ভালো সিনেমা দর্শক পাবে। কঠিন সময়েও অনেক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে ঢাকা অ্যাটাক সিনেমা।
চলচ্চিত্র নির্মাণে র্যাবের কাজ উল্লেখ না করে পুলিশ প্রধান বলেন, অপারেশন সুন্দরবন নির্মাণের কারণ হলো জাতি হিসেবে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যাই। তিন বছর ধরে সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করতে র্যাবের অমানবিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন এই সিনেমাটি।
প্রসঙ্গত, এ দিন বেনজির আহমেদ আরো বলেন সুন্দরবনে এখন যে শান্তির হাওয়া বইছে, কয়েকদিন পর মানুষ তা ভুলে যাবে। কিন্তু এ কাজে র্যাবের অবদানকে দলিল হিসেবে দেখানোর জন্যই এই সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে।