খুলনার ( Khulna ) কয়রায় রাতে ( night )র বেলায় ডিউটি করার অস্বীকৃতি জানানোয় ইকবাল হোসেন নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদের ( Abdullah Al Mahmoud ) বিরুদ্ধে। সোমবার (২১ মার্চ ) রাতে ( night ) মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। আহত ইকবাল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ( Iqbal Khulna Medical College Hospital ) চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভুক্তভোগী ইকবাল মহারাজপুর ( Iqbal Maharajpur ) ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে কর্মরত। অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ( Awami League ) ত্রাণ সম্পাদক।
খুলনার ( Khulna ) কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইকবাল হোসেনকে ( Iqbal Hossain ) মারধর করেছেন চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার রাতে ( night ) ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কয়রা থানার ওসি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার পর কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত সচিব ও হিসাবরক্ষকরা ধর্মঘট করছেন।
ইউপি সচিব ইকবাল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ প্রতিদিন বিকেলে ( afternoon ) অফিসে আসেন। আর গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন। ফলে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন সেবাপ্রার্থীরা। সোমবার বিকেলে ( Monday afternoon ) ( afternoon ) পরিষদে আসেন চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদও। কিন্তু অফিস থেকে বের হলাম বিকেল ৫টায়। চেয়ারম্যান আমাকে অফিসে যেতে বললে আমি ৫টার পর অফিসে যেতে পারব না। পরে চেয়ারম্যানের লোকজন আমাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। আমাকে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে চেয়ারম্যানসহ ৩ জন মারধর করে।
তিনি আরও বলেন, তারা আমাকে ৪ ঘণ্টা ধরে মারধর করে। জীবনে এত মার খাইনি। আমি পা জড়িয়ে ধরলেও আমাকে ছাড়েনি। এক সময় সেখানে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ( Md. ) পরে আমার স্বাক্ষর সহ একটি সাদা কাগজে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ইউপি সচিব ইকবাল হোসেনের মা রোকেয়া বেগম ( Rokeya Begum ) বলেন, “দুইজন লোক মোটরসাইকেলে এসে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। ভয় পেয়ে আমি ভ্যানে করে ওদের পিছু নিলাম। চেয়ারম্যানের লোকজন আমার মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয়। পরে সে আমাকে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখায়। তখন বুঝলাম ওরা আমার ছেলের ক্ষতি করেছে। এক সময় উপজেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমার ছেলেকে হাত ধরে বের করে আনেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের একটি বিষয় নিয়ে তার (সচিব) সঙ্গে সামান্য ঝগড়া হয়। পরে আমরা নিজেদের মধ্যে মিটে যাই। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, খবর পেয়ে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে উভয় পক্ষের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনেছি। মারধরের অভিযোগ কেউ করেনি। পরে তিনি দাবি করেন যে তারা সমঝোতায় পৌঁছেছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের ( Awami League ) সভাপতি এসএম মহসিন রেজা ( SM Mohsin Reza ) বলেন, ঘটনা শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। সচিব ইকবালকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদেরেও আমলে রয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস জানান, সোমবার সচিব আমাদের চিঠি দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন তাকে বেধম প্রহর করেছে বলে অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।