সম্প্রতি স্ত্রী ইসরাত জাহান নি/র্যাতনসহ নানা অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন ক্রিকেটার আল আমিন বিরুদ্ধে। অভিযোগে তিনি জানান অনেক দিন ধরে তার ওপর নানা ভাবে শারীরিক নি/র্যাতন করছে যৌতুকের দাবি করে স্বামী আল-আমিন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত ও ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানানো হয়। পরে সেই মামলায় আল-আমিনকে জামিন দেয় আদালত এমতাবস্থায় আবারও আদালতে মামলা করেন স্ত্রী ইসরাত জাহান। সেই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান ৬ অক্টোবর পর্যন্ত । হঠাৎ তালাকের বিষয় নিয়ে যা জানালেন ইসরাত জাহান।
স্ত্রী ইসরাত জাহানকে তালাক দিয়েছেন ক্রিকেটার আল আমিন হোসেন। দাম্পত্য সম্পর্কে তিক্ততা বৃদ্ধি ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার আদালতে দেওয়া লিখিত জবাবে আল আমিন জানান, এসব কারণে গত ২৫ আগস্ট তার তালাক হয়। তবে আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান জানান, তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে কিছুই জানেন না।
এ প্রসঙ্গে ইসরাত জাহান বলেন, ডিভোর্সের বিষয়ে আমি কিছুই পাইনি। বিচার পাচ্ছি না। আমি বিচার চাই।
আল আমিন বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তিনি মামলায় ৭ পৃষ্ঠার লিখিত জবাব দেন। পাঁচ দিন পর শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী শামসুজ্জামান।
তিনি জানান, আসামি আল আমিন আদালতে হাজির হয়ে হাজিরা দেন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে লিখিত জবাব দেন তিনি। উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দেন। তবে তার স্ত্রী তালাকের কোনো কাগজপত্র পাননি।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার আল আমিন ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৫ হাজার টাকার জামিনে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আল-আমিনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ইসরাত জাহান ও আল-আমিন ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিয়ে করেন। তাদের দুই ছেলে আছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজি পড়ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই আল-আমিন তার স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ দেননি এবং খোঁজ-খবর না নিয়ে এড়িয়ে চলেন। যোগাযোগও করেন না।
গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল-আমিন বাড়িতে এসে স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সংসার করবে না বলেছেন। ইসরাত জাহান সাহায্যের জন্য ৯৯৯ কল করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে ইসরাত জাহানকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলাও হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর আল-আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, তিনি ইসরাতকে সাথে সংসার করবেন না এবং সন্তানদের ভরণপোষণও দেবেন না। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেবেন, তালাক দেবে। পর/কীয়ায় কারণে তিনি এ কাজ করেছেন এবং এক নারীর সঙ্গে নিজের একটি ছবি ইসরাতের কাছে পাঠিয়েছেন।
আল-আমিন জানান, তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের বাড়ি থেকে বের করে অন্যত্র বিয়ে করবেন। দুই বছর ধরে আসামি বাদীর খোঁজ-খবর নেননি এবং নিয়মিত বাড়িতে থাকেন না। এ কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকারসহ মাসিক ভরণপোষণ দাবি করে মামলা করেন। বসবাস, দুই সন্তানের ভরণ-পোষণ বাবদ ৪০ হাজার এবং ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার জন্য মাসে ৬০ হাজার টাকা পাওয়ার হকদার বলে কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তালাকের বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং কোনো কাগজপত্র পাননি বলে জানান ইসরাত জাহান। আমি সঠিক বিচার পাচ্ছি না বলেও তিনি জানান।