এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে জাতীয় দলে অভিষেক হয় পেসার তানজিম হাসান সাকিবের। আন্তর্জাতিক অভিষেকে ৮ বলে অপরাজিত ১৪ রান করার পর তিনি ২ উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর শেষ ওভারে দারুণ চাপের মুখে দারুণ বোলিংয়ে দলকে জয় এনে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরে, ২০ বছর বয়সী তানজিম সাকিব সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন।
তানজিমকে নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়ার মাঝে এবার তার পাশে দাঁড়ালেন আরজে ও উপস্থাপক নীরব। সম্প্রতি ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে এক ভিডিও বার্তায় তানজিম সাকিবকে নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত জানিয়েছেন আরজে নীরব।
এই উপস্থাপক প্রশ্নটিকে ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে তুলে ধরেন—সে যা বিশ্বাস করে তাই প্রচার করে। এতে সমস্যা কোথায়? আর দেশের অধিকাংশ মানুষ তানজিম সাকিবের সঙ্গে একমত।
নিরব তানজিম সাকিবের কিছু ফেসবুক পোস্ট পড়লেন আরজে। নারীদের পোশাক ধ”র্ষণের জন্য দায়ী কিনা সে বিষয়ে একটি পোস্ট পড়েন তিনি। কয়েকটা পোস্ট পড়ার পর জিজ্ঞেস করলাম এখানে ভুল কি? নীরব বলেন, আমার মনে হয় দেশের অধিকাংশ মানুষ তার কথার সঙ্গে একমত।
নারীদের চাকরি না পাওয়া নিয়ে পোস্ট করেছেন তানজিম সাকিব। এই পোস্টের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে উপস্থাপক নীরব বলেন, আপনি যদি বিষয়টি পোলে দেন তাহলে পঞ্চাশ থেকে সত্তর ভাগ মানুষ তার সঙ্গে থাকবে। তবে এখন আর একজনের চাকরির টাকায় চলে না, এখন থেকে ১০ বছর আগে থেকেই একজনের টাকায় চলে না। বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, তাতে একজনের টাকায় চলে না।
উপস্থাপক শান্ত গলায় বললেন, এখন যুক্তি হলো আমার মা কাজ করেন, আমার স্ত্রী কাজ করেন। আমাদের পরিবারের অনেক মেয়ে কাজ করে। আমি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি। আমি মনে করি এখন নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, এখানে অনেক বড় একটি ষড়যন্ত্র রয়েছে। মোস্তাফিজ যখন অনেক হিট, তখন তাকে একটি কোচিংয়ে পাঠানো হলো। তারপর মোস্তাফিজ এসে আর মোস্তাফিজ নেই। তার বলে কোনো ধার নেই, আউট হয় না, কিচ্ছু নেই। মোস্তাফিজকে শেষ করা হলো।
তিনি আরও বলেন, আশরাফুল যখন তুঙ্গে তখন তারও ক্যারিয়ার ধ্বংস করা হলো। এই ছেলেগুলো যখন উঠে আসতে শুরু করে তখন আমাদের বড় ভাইয়েরা, বড় দাদারা এমন কিছু করে যাতে সে উঠে আসতে না পারে। আমি নিশ্চিত―তানজিমকে কিছুদিন পর দল থেকে বাদ দেওয়া হবে।
উপস্থাপক বলেন, প্রত্যেকের ধর্মীয় অনুভূতি আলাদা এবং ভিন্ন হওয়া উচিত। আজ ইসলামী একটা দলও যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে তাহলে নীনিত নির্ধারণ হবে না। হওয়া উচিতও না।
৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে, তানজিম তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়।’
পোস্টের শেষে বলা হয়েছে, “অতএব, মা-বোনদের উচিত তাদের স্বামীর আনুগত্য করা এবং তাদের আত্মসম্মান রক্ষার জন্য এবং বাসায় অবস্থান করে রানির হালাতে অবস্থান করা। অতএব মা-বোনেরা দুনিয়া কামাতে যেয়ে আখেরাত না হারিয়ে ঘরে অবস্থান করে স্বামী-সন্তানের খেদমত করে দুনিয়া ও আখেরাত দুটিই কামাই করতে পারবেন ইনশা আল্লাহ।’
তানজিমের পোস্টের স্ক্রিনশট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পোস্টটি তানজিমের ফেসবুক পেজে আর পাওয়া যাচ্ছে না।