মধ্যরাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে। বুধবার এ ঘটনা ঘটে। হঠাৎ হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। পরে তিশাকে রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিশারকে হাসপাতালে ভর্তি করার বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে ‘আত্ম’হ’ত্যা’র চেষ্টা’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ছোট পর্দার অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের ঘটনায় এমনটা করেছেন তিনি।
তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন এ অভিনেত্রী।
অভিনেত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। একই সঙ্গে অভিনেত্রী তিশাও বলেছেন, তিনি তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করে ‘দেখে নেবেন’।
একপর্যায়ে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে আমি উত্তর দিতে বাধ্য নই। আপনি প্রথম এই প্রশ্ন করেছেন, তাই আপনাকে ছাড় দিলাম। এএরপর যদি কেউ আমাকে এই প্রশ্ন করার সাহস করে তাহলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে― এটি আমি প্রমিজ করলাম। আপনি এই কথাটা অন্য সব সাংবাদিককে বলে দেন ভাইয়া।
এরপর সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, নিউজ তো অনেক পরের কথা, আমি তো তখন উড়ায় ফেলব! বাট, এখানে মুখ দিয়েও কেউ যদি বলে বা আমি শুনতে পাই কারও নাম, তা হলে আমার পাওয়ার খাটিয়ে, এমনকি যতবড় পাওয়ার খাটানো যায়, সেই পাওয়ার খাটিয়ে আমি যা করার করব। আমি আপনাকে ডিরেক্টলি বলে দিচ্ছি ভাইয়া। কারণ এটি একজন মেয়ের জন্য খুবই সেনসেটিভ।
তিশা আরও বলেন, তাদের জীবনের অর্ধেক শেষ করার জন্য যা করার আমি করব, এ জন্য আমি একেবারেই প্রস্তুত। এটা যে কোনো মেয়ের জন্য খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আর আমি এখনই মুশফিক আর ফারহানকে নিয়ে কোনো কথা বলব না।
এদিকে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি এবং উড়িয়ে দেওয়ার এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিনোদন সাংবাদিকদের মতে, তিশা একজন শিল্পী হয়ে সাংবাদিকদের এভাবে হুমকি দিতে পারেন না। অতিশিগগিরই এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যদিও পরবর্তীতে এই স্ট্যাটাস সরিয়ে নেন তিনি। এমনকি ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।