নীলফামারীর জলঢাকায় আমেনা আক্তার নামে এক মেয়েকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদীর পাড় থেকে মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় গৃহবধূসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তবে গ্রেফতারকৃতদের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত আমেনা আক্তার উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের চর হলদিবাড়ি গ্রামের আলকাজ আলীর মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে আমেনা প্রতিদিনের মতো বাড়ির বাইরে উঠানে খেলতে যায়। সারাদিন রোজা থাকায় সন্ধ্যায় রান্নাঘরে ইফতার খেতে যান আমেনার মা নার্গিস বেগম। ইফতার শেষে তিনি নামাজ পড়তে যান। আমেনা তখনো উঠোনে খেলছিল। নামাজ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নার্গিস বেগম উঠানে এসে দেখতে পান আমেনা নেই। আমেনাকে না পেয়ে সবাই বাড়ির পাশের পুকুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু আমেনাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে কয়েকদিন আগে আমেনার চাচা আশরাফের একটি বাটন মোবাইল হারি যায়। ওই হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন থেকে নিহত আমেনার বাড়িতে ফোন করে দেড় লাখ টাকা পাঠানোর কথা বলা হয়। আর না দিলে আমেনাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর অপহরণকারীদের অভিভাবকরা এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। পরে অপহরণকারীরা টাকাগুলো বাড়ির পূর্ব পাশের সবজি বাগানে রেখে দিতে বলে। সময়মতো আমেনা বাড়ি পৈছে যাবে সেই প্রতুশ্রুতিও দেয় তারা।
এরপর অপহরণকারীরা আমেনার ঘুমন্ত ছবি তার বাবার মোবাইলে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। পরে আমেনার পরিবার ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বুধবার বিকেলে জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডায় তিস্তা নদীর পাড় থেকে মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আমেনার বাবা আলকাজ আলী বলেন, আমি তাদের কথা মতো টাকা দিতে রাজি ছিলাম। তাহলে আমার মেয়েকে মারলেন কেন? আমি বিচার চাই। এআমার মেয়ের সঙ্গে এমন হয়েছে আর যেন কারো সঙ্গে এমন না হয়।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বলেন, এ ঘটনায় তিনজাকে আটক করা হয়েছে। পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।