বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের যে কয়েকজন সংগীত শিল্পী রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একজন সংগীত শিল্পীর নাম সামিনা চৌধুরী। যার কথা, সুর, চমৎকার গায়ক- সবকিছুই নিখুঁত।
‘রাতের নির্জনতায় কবিতা পড়ার সময় এসেছে, জোনাকির প্রদীপ নিভে যায় শাল পুড়ে মহুয়ার বনে’ কিংবা তার কণ্ঠে ‘ওই ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায়ে’, ‘ফুল ফুটেছে’, ‘আমি এখন নেই’, ‘এই জাদু সত্যি হতো’। প্রভৃতি গান গেয়ে মানুষের হৃদয়ে চিরকাল জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।সঙ্গীতের জগতে সামিনা চৌধুরী অনন্য।
নন্দিত একজন গাইকা যিনি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে গান করছেন। সম্প্রতি রিয়েলিটি শো ‘সেরকন্ঠ’-এর বিচারক হয়েছেন। জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে সামিনা চৌধুরী নতুন গান নিয়ে বলেন, অনেক গান ঝুলে আছে। অনেক গান গেয়েছি। কিছু রেডি রাখুন। তবে নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে অন্তত একটি করে গান করার চেষ্টা থাকবে। আগামী মাসে সফিক তুহিনের সুরে ও মাজহারুল ভাইয়ের লেখা একটি গান প্রকাশ পাবে।
বাইরে স্টেজ শো করছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, না। শীতকালে বাইরে শো কম হয়। আমি সেটাও করি না।
আপনাকে অনেকদিন গানের জগতের বাইরে রাখা হয়েছিল। ব্যাপারটা একটু ক্লিয়ার করতে পারবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সামিনা চৌধুরী বলেন, আমি ভয়ংকর রাজনীতির শিকার হয়েছি। ১০-১৫ বছর কোনো শিল্পীকে গান গাইতে দেওয়া হয়নি। আমি সব জায়গা থেকে কোণঠাসা ছিল. আমি তার নাম বলতে চাই না, তখন সবাই জানতে পারবে। আর নাম বললে সে লজ্জা পাবে।
আরেকটি কারণ ছিল ভারতীয় সুর নকল করার বিরুদ্ধে। আমি তখন পত্রিকাকে বলেছিলাম যে এটা উচিত নয়। তখন অনেকের কাছেই ছিল। এরপর শুরু হয় নানা রাজনীতি। বহু বছর তাদের গান গাইতে দেওয়া হয়নি। তদবির না করার কারণে পিছিয়ে ছিলাম- এখন বুঝলাম। সেটা করতে পারলে এক ধরনের ক্যারিয়ার তৈরি হবে, কিন্তু মনে শান্তি থাকবে না।
প্রসঙ্গত, সামিনা চৌধুরী আবারো গানের জগতে ফেরার আভাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন তার বাকি কাজ গুলো আবারো শুরু করবেন তিনি বিচরণ করবেন গানের জগতে। তিনি বলেন, আমি মানসিকভাবে শান্তি পাই এখনো যে, লবিং ছাড়াও এতদূর আসতে পেরেছি। জীবনের শেষে এসে মনে শান্তি নিয়ে বলতে পারি, পলিটিক্স কখনো করিনি। শুধু গান দিয়ে কিছু মানুষের মনে এখনো রয়েছি ভালোবাসায়।