আওয়ামী লীগের ( Awami League ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম ( Md. Zahidul Islam ) টিপু। গত ২৪ মার্চ ( March ) রাত ১০টার দিকে এক খাবার হোটেল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। তখনি ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা। এক ভাড়া করা শু/টারের হাতে প্রয়াত হন। তবে তিনি একা নন তার সাথে প্রা/ন যায় এক তরুণীর।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম বলেন, “আমার টা/র্গেট ছিল টিপুকে হ/ ত্যা করা। তাই আমি অ/ স্ত্রের ট্রি /গার ধরে রেখেছিলাম। সাথে সাথে গু/লি ছোড়া হয়। আমি প্রীতিকে লক্ষ্য করে গু/ লি করিনি। প্রীতির শরীরে যে গু/লি লেগেছে তা আমি জানতাম না। খু/ নের পরদিন টিভি দেখে জান্তে পেরেছি। আমি তাকে গু/লি করতেও যাইনি। আমার টা/র্গেট ছিল শুধু টিপু।
রোববার ২৭ মার্চ ( March ) দুপুরে মাসুমকে ( Masumke ) গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে ডিবি। তবে গণমাধ্যমের সামনে কিছু বলেননি মাসুম।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ( Dhaka Metropolitan Police ) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান একেএম হাফিজ আক্তার রোববার বলেন, মাসুম আমার কাছে এ হ/ত্যাকা/ণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। মাসুম এই হ/ত্যার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে ছিল। তবে টাকা দিয়ে নয়, সুবিধা পাওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ৪-৫টি মামলা রয়েছে। হ/ত্যা মামলাও রয়েছে। তাকে বলা হয়েছিল সেসব মামলা থেকে তাকে রক্ষা করা হবে।
ডিবি জানায়, গ্রেফতারকৃত মাসুম একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাফিক ডিজাইন পাস করেছে। তার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।
হ/ত্যাকা/ণ্ডের কারণ জানতে চাইলে এ কে এম হাফিজ আক্তার ( AKM Hafiz Akter ) বলেন, এ মুহূর্তে আমি তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। উদ্দেশ্য পরে বলতে পারি।
প্রীতির গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার ( Comilla ) মুরাদনগরে। বাবার চাকরির সুবাদে তার পরিবার ঢাকায় ( Dhaka ) থাকে। প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন ( Jamal Uddin ) মিরপুর-২ ( Mirpur-2 ) এ একটি কোম্পানির কারখানায় কাজ করেন।
মেয়ে হ/ত্যার বিচারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মামলা করব না। মামলা পরিচালনার মর্যাদা ও সুযোগ আমার নেই। আমি কোনো বিতর্কে জড়াতে চাই না। কেউ সহযোগিতা করলে ভিন্ন কথা।
বদরুন্নেসা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়ছিল প্রীতি। পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রীতি নিজে চাকরির চেষ্টা করছিলেন। একটি অফিসে ১৫ হাজার টাকায় চাকরি নেন। আগামী মাসে তার যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি।
উল্লেখ্য, বি/কট আওয়াজ শুনে আশেপাশের লোকজন টিপু ও প্রীতিকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে পৌঁছানো মাত্র ডাক্তার তাদেরকে মৃ/ত নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে প্রীতির বাবা কোন প্রকার আইনি পদক্ষেপ নিতে নারাজি পোষণ করেন। অনেকে জানিয়েছেন হয়তো প্রীতির পরিবারকে ভয় দেখিয়ে মামলা করা থেকে দূরে থাকতে জোর করা হয়েছে। তবে প্রীতির পিতা জানিয়েছে অনেকটা আর্থিক অভাবের কারণে তিনি মামলা করতে চান না। তিনি আরও বলেন, যদি কেউ আমাকে মামলায় সাহায্য করেন তাহলে আমার মামলা করতে সমস্যা নাই।