গ্রাম্য বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহি একটি খেলা ‘নৌকা বাইচ’। প্রায় প্রতিবছরই এই খেলা উপভোগ করার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যাটকরা। আর এই ‘নৌকা বাইচ’ দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সংসদ্য একেএম শামীম ওসমানেরও। সেই ঘটনা এবার নিজেই শেয়ার করলেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকালে ডিক্রিরচর গুদারাঘাট এলাকায় ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নৌকা বাইচ খেলা আমি জীবনে প্রথম দেখলাম। খেলাটি দেখে আনন্দ লেগেছে, ভালো লেগেছে। এখন থেকে আমাদে গ্রামীণ নৌকাবাইচ, হাডুডু, কাবাডি, সাঁতার সবগুলো খেলা হবে। আমরা সব খেলায় জিতবো। আমি ছোট্ট একটি মানুষ একসময় বলেছিলাম- খেলা হবে, ওই খেলা আজকে হয়েছে’
তিনি বলেন, ‘নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখার জন্য নদীর দুই পাড়ে প্রচুর মানুষ ছিলো। তার মধ্যে অনেকে যার যার ইউনিয়ন পর্যায় প্রতিযোগিদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য এসেছেন। বড় বড় ট্রলার ভাড়া করে তারা আনন্দ করছে। তার মধ্যে আমার একটি টিম ছিলো। তাদের বলেছি তোমরা পেছনে থাকো। আজকে যারা আনন্দ দিয়েছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
নৌকা বাইচে আটটি ইউনিয়নের আট দল অংশ নেয়। এতে প্রথম হয়েছে এনায়েত নগর, দ্বিতীয় কুতুবপুর ও তৃতীয় বক্তাবলী ইউনিয়ন। বিজয়ীদের তিন লাখ, দুই লাখ ও এক লাখ টাকার চেক এবং ট্রফি দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান আরও বলেন, এই নৌকা বাইচ খেলা আগে কখনও দেখিনি। সত্য কথা বলতে যদি আমরা ন্যায়বিচার প্রকৃতভাবে করি, কে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হয়েছে বলা মুশকিল। এর মধ্যে কিছু কিছু লোক আছে যারা আমার মতো চতুর, তারা শেষ পর্যন্ত যায়নি। তারা অর্ধেক অবস্থা থেকে ফিরে চলে এসেছে। তারা একটু বুদ্ধিমান।’
সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার ঐতিহ্য। তবে এত বাধা-বিপত্তির মধ্যদিয়েও ‘নৌকা বাইচ’এর মতো গ্রাম্য বাংলার অন্যতম এক ঐতিহ্য ধরে রেখেছে মানুষ। তবে এটাও যেন হারিয়ে না যায়, এজন্য প্রশাসনকে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই।