সীতাকুন্ডের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কেউ হারিয়েছেন তাদের ভাইকে, মা হারিয়েছেন তার অতি আদরের ছেলেকে, বোন হারিয়েছেন ভাইকে, স্ত্রী হারিয়েছেন স্বামীকে এবং ছেলে হারিয়েছেন বাবাকে। এই অতি দুঃখজনক ঘটনা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না। সীতাকুন্ডের অগ্নিকান্ডে প্রয়াত হয়েছেন শাকিব আনমের এক যুবক। তিনি প্রয়াত হাবর পূর্বে বলেন তার ভাইকে যে আমি শেষ ভাই আমার নিথর দেহ বাড়িতে মাটি দিও।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছোট ভাই সাকিবকে খুঁজছেন বড় ভাই আব্দুল হান্নান। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে নিখোঁজ সাকিব। মঙ্গলবার (৬ জুন) পর্যন্ত সাকিবকে পাওয়া যায়নি বলে জানান আব্দুল হান্নান। সাকিব নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চর বৈশাখী গ্রামের প্রয়াত সফিউল আলমের ছেলে।
নিখোঁজ সাকিবের বড় ভাই আব্দুল হান্নান জানান, ঘটনার আগে তার ভাই সাকিব বিএম ডিপোর চালক আলিমকে নিয়ে আসেন। আগুন লাগার পর ওকে ডেকে বল, ভাই, আমি শেষ! আমাকে নিয়ে আমার নিথর দেহ ঘরে দাফন কর।
উল্লেখ্য, শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের পাত্রে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটলে তা কেঁপে ওঠে বহুদূর। অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রয়াতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের মতে প্রয়াতের সংখ্যা ৪১। দগ্ধ ও আহত ১৭৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে শনাক্ত হওয়া হতাহতদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্রগ্রামে চলছে শোকের মাতম। যাচ্ছে কোনোভাবে পরিবারের মানুষদের সান্তনা দেওয়া। তারা কেঁদে যাচ্ছেন অবিরাম। এ যেন স্বজন হারানোর কঠিন আহাজারি। শাকিব বুঝতে পেরেছিল তার যে অবস্থা, সে আর বাড়ি ফিরতে পারবে না। তাই ভাইকে বলে গেছে জীবনের শেষ কথাটি।