আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী আইভী যেন কোনো না কোনোভাবে সবসময়ই আলোচনার শীর্ষে। পরপর তিনবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হয়েছেন তিনি। দাঁড়িয়েছেন চতুর্থবারের মতো তবে এবার প্রতিপক্ষ সাবেক বিএনপি নেতা তৈমুর আলম। নানান প্রকার অভিযোগ দুই পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি একটি প্রচার অনুষ্ঠানে আইভী অভিযোগ করেছেন কালো টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য। নিজেকে গরিব বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে কালোটাকার টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে এবং ভোটাদের প্রভাবিত করতে কালো টাকার ব্যবহার করা হচ্ছে। সারা বাংলাদেশ জানে আমি গরিব মানুষ। অর্থনৈতিকভাবে আমি সাধারণ জীবনযাপন করি। এটা আমার শত্রুরাও জানে। এমনকি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর কাকাও জানেন। সুতরাং কোথায় কে টাকা ছড়াচ্ছে এটাও প্রশাসনের কাছে আমার জিজ্ঞাসা। প্রশাসনেকে এই কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধ করতে হবে।’
বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিতাইগঞ্জ, ডাল পট্রি, খোয়ারপট্রি, কেরোসিনঘাট, টানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগের সময় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আইভী বলেন, ‘আমি জনগণের কাছে যাচ্ছি, ভোট চাচ্ছি। সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে কথা বলা, মন জয় করা, তাদের কাছ থেকে ভোট আনা খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। আমি মনে করি, নির্বাচনি পরিবেশ এখনও অনেক ভালো আছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এ রকম পরিবেশ থাকুক আমি তা-ই চাই। যাতে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক ও উৎসবমুখর পরিবেশে যেন সবাই ভোট দিতে পারে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নৌকার এ প্রার্থী বলেন, ‘শহরের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য যদি কোনও মাদক বিক্রেতা, সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেফতার করে তবে সেটি সঠিক কাজ করেছে আইশৃঙ্খলা বাহিনী। এর বাইরে আমি কিছুই জানি না কাকে ধরেছে। কারণ আমি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশ রাখার জন্য যে ব্যবস্থা নিতে হয় প্রশাসন যেন তা নেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জে খুব সুন্দর নির্বাচন হয়েছিল। সরকার খুবই সুন্দর নির্বাচন করেছে। আশা করি, ১৬ জানুয়ারিতে উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দেবে। প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি, মানুষ যেন ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারে।’
যদিও অভিযোগ উভয়পক্ষই করে যাচ্ছে সব সময় আর এটাই আমাদের রাজনীতির প্রেক্ষাপট। তবে কে যে সত্য কথা বলছে সে ব্যাপারে কোনো প্রমাণ মিলছে না। হয়তো প্রশাসন তৎপর হলে বুঝা যেত আসলে তাদের মন্তব্যগুলো সত্য নাকি মিথ্যা। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় যে এত টুকু হবে এটা স্বাভাবিক। তাইতো এখন অপেক্ষা ভোটের দিনের জন্য।