টাইগারদের বোলার হিসেবে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তাতে কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে খেলতে গিয়ে টাইগারদের পিছিয়ে দেয়ার বিষয়টি হলো ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স। ব্যাটসম্যানদের খুব বাজে ধরনের পারফরম্যান্সের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ম্যাচটিতে ৬ উইকেটে পরাজিত হয় টাইগাররা।
দ্বিতীয়বারের মতো নেতৃত্ব কাঁধে নিয়ে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। হয়তো সে কারণেই সতীর্থদের ছাড়েননি। তিনি রীতিমতো ধুয়ে দিলেন। শুধু মানসিক নয়; ব্যাটারদের টেকনিক্যাল সমস্যাও আছে বলে জানালেন তিনি।
এতদিন দেখা যাচ্ছে ম্যাচ হেরে ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ান কোচ-অধিনায়করা। তবে এবার একটু রাগতেই দেখা গেল বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
অ্যান্টিগায় হারের পর ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘অনেক টেকনিক্যাল সমস্যা রয়েছে। আমরা মনে করি না যে, আমাদের কাছে টেকনিক্যালি ভালো খেলোয়াড় আছে। আমাদের দলের প্রত্যেকের একটি টেকনিকাল সমস্যা আছে, তাদের এটি থেকে বের করতে হবে, কিভাবে রান করতে হবে, ক্রিজে থাকতে হবে, এই বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
অ্যান্টিগায় টেস্টে সবচেয়ে উজ্জ্বল ব্যাটসম্যান সাকিব। ধ্বং/”সস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে পরপর দুটি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। সোহানের সঙ্গে ১২৩ রানের জুটি গড়ে টার্গেট দিতে পেরেছেন উইন্ডিজকে। চতুর্থ দিনে টেস্টের আয়ুষ্কাল বাড়িয়েছেন।
কিন্তু টেকনিক্যাল সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কি মুমিনুল-শান্তদের কোচিং করাবেন তিনি?
সাকিবের মতে, একই সঙ্গে অধিনায়ক ও কোচের দায়িত্ব পালনের কোনো ইচ্ছা নেই তার।
সাকিব বলেন, ‘‘দেখেন এটা তো আসলে আমার খুব বেশি আলোচনার বিষয় না। কোচেরই আলোচনা করার বিষয়। এখন আমি যদি কোচিংও করি অধিনায়কত্বও করি তা হলে তো সমস্যা। যতটুকু আমার কাজ, আমি মনে করি ততটুকুতে থাকাই ভালো। আমি আমার দায়িত্ব যথাসম্ভব পালন করার চেষ্টা করবো। বাকি সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করলে সবার জন্য সহজ হবে।’
তবে ব্যক্তিগতভাবে ব্যাটিংয়ের এই দুর্দ”শা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করেন সাকিব।
তিনি বলেন, “এটা যার যার ব্যক্তিগতভাবে আনা সম্ভব। কাউকে বলে কাজ হবে বলে মনে হয় না। কাজেই তিনি কীভাবে রানে ফিরে আসতে পারেন বা ক্রিজে অনেক সময় ব্যয় করতে পারেন তা সিদ্ধান্ত নেওয়া ব্যক্তির উপর নির্ভর করে।’
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১১ জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে ছয়জনই শূন্য রানে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫। সাকিব ও সোহানের জুটি কিছুটা মুখ বাঁচিয়েছে। তবে এই ইনিংসে ২৫ রানের কোটা পার করতে পারেননি ৮ ব্যাটসম্যান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা মাঝে মাঝে দুর্দান্ত খেললেও সামগ্রিকভাবে তারা মসৃণ গতিতে পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন না, যেটা নিয়ে মাঝেমাঝেই সমালোচিত হয়ে থাকেন টাইগাররা। তবে অ্যান্টিগাতে টাইগাররা যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তাতে সমালোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর এই বিষয়টি নিয়ে সাকিব আল হাসান অনেকটা মেজাজ হারিয়েছেন।