বাংলাদেশ একটি স্বাধীন এবং গনতান্ত্রিক দেশ। মহান যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই দেশ স্বাধীনতা বিরোধী অনেকেই রয়েছে। যারা দেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল। বর্তমান সরকার এমন অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় এনেছে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ রয়েছে। এরই ভিত্তিতে তিনি বর্তমান সময়ে কারাগারে রয়েছেন। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবার তার উদ্দেশ্যে বেশ কিছু কথা বললেন।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মতো কু/খ্যা/ত রা/জা/কা/রের বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তাকে বছরের পর বছর কারা/গা/রে রেখে ভরণপোষণ দিয়ে, আদর-আপ্যায়ন করার কোনো মানে হয় না। বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাঈদীর আরও কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় যাবে, রিভিউ হতে পারে। আমি বলতে চাই, বিষয়টা নিয়ে স্বোচ্চার হওয়া উচিত। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মতো একজন কু/খ্যা/ত রা/জা/কার, তার যু/দ্ধ/কা/লী/ন যে ইতিহাস সেটা সবাই জানি। যিনি একের পর এক অস্থিতিশীল ঘটনা ঘটনার জন্য দায়ী। তাদের সমর্থকেরা জামা/য়া/তে ইসলামী, ছাত্র শি/বি/র বা আরেকটা ভার্সন আছে হেফা/জ/তে ইসলাম। তবে সবাই না, সবার কথা বলছি না, উগ্র/প/ন্থী যারা তাদের কথা বলছি। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, যখন সাঈদীর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে, যখন সাজা হয়ে যাচ্ছে তখন চাঁদের মধ্যে সাঈদীর ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ঝড় তুলে ফেলল। তার মানে কত বড় পুণ্যবান লোক, আলেম। এই সাঈদীর বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তাঁকে এভাবে বছরের পর বছর কা/রা/গা/রে রেখে, ভরণ/পো/ষণ দিয়ে, আদর আপ্যায়ন করে মানেটা কি? আমি এই জিনিসটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না।
তিনি বলেন, কোনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং এই বাংলাদেশের কিছু মানুষ ছাড়া যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী তাঁরা কেউই চায় না এই রাজাকারটাকে এভাবে কারাগারে সুন্দরভাবে আদর আপ্যায়ন করা। এর বিচার হওয়া উচিত। প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, প্রশ্ন করবেন হয়তো তাহলে আপনি বিচার করেন। আমি কেমনে করব, এটা আইনমন্ত্রী মহোদয় ছাড়া তো করতে পারব না, আদালত ছাড়া তো হবে না। আমি বলতে চাই এ বিষয়টা নিয়ে সোচ্চার হওয়া উচিত। তিনি খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে। আর এ বয়সে শারীরিক কিছু জটিলতা থেকে থাকে। এ ছাড়া তিনি এর আগে তার সমস্যার জন্য বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন। তবে তার প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে। দেশে তার সবোর্চ্চ চিকিৎসা হচ্ছে। সরকার তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করছে। বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয় বিশ্লেষণ করছে।
বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১ সালে দেশের জন্য লড়াই করা ব্যক্তিদের প্রদান করছেন নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা। এবং প্রদান করছেন সম্মাননা। এবং দেশের বিপক্ষে অবস্থানকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেককেই নানা ধরনের শাস্তি প্রদান করেছে উচ্চ আদালত।