Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আমি কেন এখন বাংলাদেশে আসতে পারতেছি না?: পিনাকী ভট্টাচার্য

আমি কেন এখন বাংলাদেশে আসতে পারতেছি না?: পিনাকী ভট্টাচার্য

ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য-র সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোষ্ট ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকের ওই পোষ্টে তিনি যা লিখেছেন তা হুবহু বাংলায় নিচে তুলে ধরা হলো:-

বিষয়টা বুঝায়ে বলি। আমি ফ্রান্সে পলিটিক্যাল রিফিউজি। আমার স্ট্যাটাস রিফিউজি। আমি রাষ্ট্রহীন। আমার বাংলাদেশী পাসপোর্টও নাই। আমাকে রিফিউজি স্ট্যাটাস দেয়া হইছে কারণ আমি তাদের বলছি হাসিনা থাকার কারণে আমার জীবন নিরাপদ না বাংলাদেশে। তারা এইটা মাইন্যা নিয়া আমারে রিফিউজি বানাইছে।

আমার রিফিউজি স্ট্যাটাসের সাথে যুক্ত আমার রেসিডেন্স পারমিট। তারা কইছে এইবার করে কম্মে খাও। আমি করে কম্মে খাই। কোথায় কাজ করি কী কাজ করি আপনাদের আমি বলছি। আমার পুত্র এইখানে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। আমার পোলা হিসেবে সেও একটা রেসিডেন্স পারমিট পাইছে। আমার স্ত্রীও পাইছে। এখন আমি যদি ফরাসী সরকারের কাছে আমার পাসপোর্ট ফেরত চাই তাইলে দুইটা সমস্যা। এক নাম্বার সমস্যা আমার রিফিউজি স্ট্যাটাস আর থাকবে না। আমারে কইবে তুমি দেশে ফিরে যাও তোমার হাসিনা ডার্লিং তো নাই। আমি আমার রেসিডেন্স পারমিট হারাইতে পারি। নাও পারি হারাইতে কিন্তু অল্প হলেও রিস্ক থাকে যে আমার রেসিডেন্স পারমিট আমি হারাইতে পারি। আমি এই ঝুকির মধ্যে যাইতে চাই না।

দুই নাম্বার সমস্যা এই প্রসেসটা দীর্ঘ। কম করে হলেও ছয় মাস থেকে এক বছর। এক বছর যদি অপেক্ষাই করতে হয় তার চাইতে আমার এই সময়ে ফ্রেঞ্চ ন্যাশনালিটি নিয়ে নেয়া ভালো। এই সময়ে ন্যাশনালিটি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সরকার যদি ফ্রেঞ্চ সরকারকে কইতো ওরে ইমিগ্রান্ট বানায়ে দাও ওর নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। তাইলে আমি আগামীকাল দেশে ফিরতে পারতাম। এইটা পাচ মিনিটের কাজ।

এই কাজ প্রফেসর ইউনুসের সরকার করার টাইম পায়না বা করতে চায়না। ফেয়ার এনাফ। আমি ফ্রেঞ্চ পাসপোর্ট পাই তারপরে ফিরবো। কিন্তু আপনারা মনে রাইখেন আমার লগে এইটা করা হইছিলো। আমি কোন ফেভার চাইতেছি না। আমি সরকারকে ফেভার করতেছি, এইটা মাইন্যা আমারে ফিরাইতে হবে।

আমারে যদি মাঠে দরকার না লাগে। করেন কাম। ডেইলি মাঠে গেঞ্জাম সামলান।

উল্লেখ্য, পিনাকী ভট্টাচার্য একসময় বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস ও অন্যান্য বিষয়ে ১৮টি বই লিখেছেন। আজ তিনি একজন জনপ্রিয় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। ফেসবুকে তার প্রায় পাঁচ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। টুইটারেও সক্রিয় তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাস, সমাজ, চলমান রাজনীতি, মায়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়ন এবং বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে মানবাধিকার বিষয়ে তার অনলাইন লেখাগুলো তরুণ শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *