ভারতের হিন্দি সিনেমার মেঘা সুপারষ্ঠার সালমান খান। তিনি অভিনয় জগতে ৩ দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। এবং অভিনয় করেছেন অসংখ্য সিনেমায়। তিনি তার ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন। তার অভিনীত বেশ কয়েটি দর্শক নন্দিত সিনেমা রয়েছে। এবং এই অভিনেতা জনপ্রিয়তা রয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। সম্প্রতি তার একটি নতুন সিনেমা প্রকাশিত হয়েছে। এই সিনেমাকে নিয়ে দর্শককদের কান্ডে হত/বা/ক হয়েছেন তিনি। এবং এই বিষয়ে দর্শকদের প্রতি জানিয়েছেন বেশ কিছু কথা। সম্প্রতি এই ছবি প্রসঙ্গে সালমানের সঙ্গে বেশ কিছু কথোপকথ হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারির পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। আর এর মধ্যেও ভালোই ব্যবসা করছে সালমান খান অভিনীত সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’।
কোনো ছবির সফলতা বা অসফলতার পেছনে ছবির বাজেটের বড় ভূমিকা থাকে। আপনার এ ছবির বাজেট কত ছিল?
ছবিটা যখন শুরু করেছিলাম, তখন বাজেট কম ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এর বাজেট বেড়ে যায়। ছবি মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে আবার এই সাক্ষাৎকারের একটাই কারণ। আসলে আমি সবাইকে জানাতে চাই যে এ ছবিতে আমি শুধু অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় নেই। তবে ছবির কালেকশন ধীরে ধীরে বাড়ছে। আমি এতে খুশি। আমার ছবি এক দিনে ৩৫-৪০ কোটি (রুপি) ব্যবসা করে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে যা আয় হচ্ছে, তাতেই আমি সন্তুষ্ট। প্রতিদিন ছবির কালেকশন বাড়ছে। শুধু ‘অন্তিম’–এর কথা বলব না। দর্শক থিয়েটারে আবার আসতে শুরু করেছে, এটাই খুশির কথা।
আপনার কিছু ভক্ত থিয়েটারে বাজি ফাটিয়েছেন। আর এর জন্য আপনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন…
থিয়েটারে বাজি ফাটাতে দেখে আমার অত্যন্ত খারাপ লেগেছে। এর আগে থিয়েটারে আ/গু/ন লাগার ফলে অনেক প্রা/ণ/হা/নি হয়েছে। ওই ঘটনা কোনো অজ্ঞাত কারণে ঘটেছিল। তবে এখানে জেনেবুঝে বিপদ ডেকে আনা হচ্ছে। আমি ওদের ভালোবাসা অনুভব করি। ওদের সুরক্ষাও আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওরা নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে অন্যের প্রাণও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
আপনার ছবিতে দুধ ঢালা হচ্ছে দেখেও আপনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। অথচ দক্ষিণে রজনীকান্তর ছবি এভাবে স্বাগত জানানো হয়…
আমি খুশি যে রজনীকান্ত স্যারের ছবিকে এভাবে স্বাগত জানানো হয়। তবে আমি এ ধরনের ওয়েলকাম চাই না। আমার পোস্টার দুধ খায় না। কিন্তু এমন অনেক শিশু আছে, যাদের দুধের প্রয়োজন। ওরা ওদের দুধ দিতে পারে। আমি নিজেই দুধ খাই না, আমার পোস্টার কীভাবে খাবে। এ প্রসঙ্গে বলতে চাই যে অতিমারির সময় আমার অনেক ভক্ত অনেক ভালো কাজ করেছে। ওষুধ, খাবার, অক্সিজেন, জামাকাপড় তারা বিতরণ করেছে। আর আমি আমার ফ্যান ক্লাবের এসব কর্মাকাণ্ডের কথা সাত-আট মাস পর জানতে পারি। তারা খুব একটা পয়সাওয়ালা নয়। অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। আমি আমার ফ্যান ক্লাবের সদস্যদের বোঝাই যে অন্য কোনো অভিনেতা সম্পর্কে বাজে কোনো মন্তব্য না করতে। অন্য অভিনেতাদের ফ্যান ক্লাবের ছেলেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় গালাগালি পর্যন্ত দেয়। কিন্তু আমার ক্লাবের ছেলেরা তা করে না।
আপনি ব্যক্তিগত জীবনে কার ভক্ত?
একজন অভিনেতা হিসেবে আমার ইউসুফ সাহেবের (দিলীপ কুমার) কাজ খুব পছন্দ। আর ধরমজি, দেব সাহেব, বিনোদ খান্না, শত্রুঘ্ন স্যার, শশী কাপুর, রেখাজি, হেমাজি—তাঁদের প্রত্যেকের বিশেষ গুণ আছে। আমি ছোট থেকে তাঁদের এসব গুণ নিজের মধ্যে আত্মস্থ করার চেষ্টা করি। তবে তা নিজের স্টাইলে।
এ ছবিতে আয়ুশ শর্মাকে প্রথমবার শার্টলেস দেখা গেল। আপনি পর্দায় প্রথম কবে শার্টলেস হয়েছিলেন?
‘ও জানে যা’ গানের দৃশ্যে। তবে এটা জেনেবুঝে হইনি। ওই সময় আমি মাত্র শরীর বানানো শুরু করেছি। ওই গানের দৃশ্যের জন্য আমাকে একটা লাল রঙের টি–শার্ট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টি–শার্টটি পরে মনে হচ্ছিল, আমি ব্লাউজ পরেছি। কারণ, এতটাই টাইট ছিল। আবার নতুন টি–শার্ট আনতে গেলে দেরি হয়ে যেত। তাই বাধ্য হয়েই শার্টলেস হয়ে নাচের স্টেপ দিই।
‘অন্তিম’ ছবিতে আপনাকে বাইক চালাতে দেখা গেছে। ব্যক্তিগত জীবনে আপনি বাইক বা গাড়ির বিষয়ে কতটা শৌখিন?
ফার্ম হাউসে একটু–আধটু বাইক চালিয়ে নিই। ২৪ বছর ধরে আমি গাড়ি চালাচ্ছি। তবে গাড়ি চালানোর শখ এখন আর নেই। সাইকেল এখনো খুব চালাই। আর এটা কার্ডিও হিসেবে কাজ করে। কিছু না থাকলেও সাইকেল আমার সাথি থাকবেই। এটা চালানোর অভ্যাস আমি ছাড়তে চাই না। তবে আমি ট্র্যাকিং খুব ভালোবাসি। পুরো লকডাউনে আমি ট্র্যাকিং করেছি। চাষবাস করেছি। পাহাড়ে চড়েছি।
আগামী দিনে আপনার কোন কোন ছবি আসতে চলেছে?
‘দাবাং ফোর’–এর ওপর কাজ চলছে। সাজিদের একটা ছবি আছে। তবে সেটা ‘কিক’ নয়। ‘টাইগার’ আগামী বছর আসবে। ‘কাভি ঈদ কাভি দিওয়ালি’ ছবিটিও আছে। এ ছবির নাম নিয়ে একটু দ্বিধায় আছি। ছবিটির নাম ‘ভাইজান’ রাখার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভাবছি দর্শকের মতামত নেব। আনিস বাজমির ছবিতে কাজ করব ভাবছি। নির্মাতা হিসেবে দু-তিনটি ছোট মাপের ছবি বানাচ্ছি।
এ ছবিগুলোতে কি নতুনেরা সুযোগ পাবেন?
আমি নতুনদের সব সময় সুযোগ দিই। আমি কখনোই বড় তারকাদের পেছনে দৌড়াই না।
আগামী দিনে আপনার কোন কোন ছবি আসতে চলেছে?
‘দাবাং ফোর’–এর ওপর কাজ চলছে। সাজিদের একটা ছবি আছে। তবে সেটা ‘কিক’ নয়। ‘টাইগার’ আগামী বছর আসবে। ‘কাভি ঈদ কাভি দিওয়ালি’ ছবিটিও আছে। এ ছবির নাম নিয়ে একটু দ্বিধায় আছি। ছবিটির নাম ‘ভাইজান’ রাখার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভাবছি দর্শকের মতামত নেব। আনিস বাজমির ছবিতে কাজ করব ভাবছি। নির্মাতা হিসেবে দু-তিনটি ছোট মাপের ছবি বানাচ্ছি।
এ ছবিগুলোতে কি নতুনেরা সুযোগ পাবেন?
আমি নতুনদের সব সময় সুযোগ দিই। আমি কখনোই বড় তারকাদের পেছনে দৌড়াই না।
ভারতের সিনেমা গোটা বিশ্ব জুড়েই বেশ জনপ্রিয়। এমনকি এই মাধ্যমে অভিনয় করা তারকারাও সমান ভাবে জনপ্রিয় গোটা বিশ্বে। প্রতি বছরেই এই মাধ্যমে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর অভিনীত সিনেমা প্রকাশিত হয়ে থাকে। পচ্ছন্দের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনীত সিনেমা নিয়ে দর্শক মাঝে উৎসব উদ্দীপনার শেষ নেই।