‘আমি এসিল্যান্ডের অফিস হতে ফোন দিয়েছি। আপনাদের হোটেলে র্যা’ব-পু’/লি’শসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ করতে এবং তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে আপনাকে ৭০,০০০ টাকা দিতে হবে। এই টাকা দিলেই তবে আপনাদের হোটেলের নাম তালিকা হতে কে’টে দেওয়া হবে। আর যদি টাকা না দেওয়া হয় তাহলে দুই লাখ টাকা নিয়ে রেডি থাকেন, জরিমানা করার পর হোটেল সিল করে দেওয়া হবে। ‘
গত শনিবার বিকেলের দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে এসল্যান্ড হিসেবে নিচের পরিচয় দিয়ে কথা বলে কালীগঞ্জের বেশ কয়েকটি হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বেকারিসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করে। নগরীর একটি তিন তারকা হোটেলের মালিক নিরাপত্তা চাওয়ার মাধ্যমে গত রবিবার সকালের দিকে থা’/নায় গিয়ে একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেন।
থ্রি-স্টার হোটেলের মালিক সাজ্জাত হোসেন জানান, শনিবার বিকাল ৪টা ১৮ মিনিটে তার মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে এসিল্যান্ড অফিসের লোক পরিচয়ে তার প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্ট অভিযান বন্ধ করতে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং এখনই এসে টাকাটা নেবেন বলেও জানান। এরপর বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক আশপাশের লোকজনকে অবহিত করায় স্থানীয়রা জড়ো হওয়ায় প্রতা’/রক চক্রটি আর আসেনি।
সুজাত হোসেন যিনি কালীগঞ্জ থা’/নার এসআই হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি জানান, চাঁদাবাজির চেষ্টার অভিযোগ এনে থা’/নায় একটি জিডি করা হয়েছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে একটি প্রতা’/রক চক্র। তিনি দ্রুত বিষয়টি উদঘাটনের চেষ্টা করছেন।
ভুপালী সরকার যিনি কালীগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে রয়েছেন তিনি জানিয়েছেন, তিনি হোটেলে এইভাবে চাঁদা চাওয়ার কথা শুনেছেন। একটি প্রতা’রক গোষ্ঠী তার অফিসের কথা বলে এই ভাবে চাঁদা চাইতে পারে। প্রতা/র’কদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মোবাইলে প্রতারকের কল