বর্তমান সমসয়ে বাংলাদেশের ব্যস্ততম অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম একজন চঞ্চল চৌধুরী। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের সাথে রয়েছে। এবং অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক এবং সিনেমা ও বিজ্ঞাপনে। বর্তমান সময়ে অনলাইন প্যাল্টফ্যার্মেও তরা অভিনীত কাজ গুলো প্রকাশিত হচ্ছে। সম্প্রতি তিনি তার কাজের প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন।
টেলিভিশন নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব—তিন মাধ্যমেই সফল চঞ্চল চৌধুরী। অভিনয় তাঁর ধ্যানজ্ঞান। অভিনয় ছাড়া কিছুই ভাবতে পারেন না তিনি। এই অভিনেতাই হঠাৎ বলে উঠলেন, অভিনয় না করতেও রাজি আছেন তিনি। কেন এমন কথা বললেন সোনাই, আয়না, মুন্সিখ্যাত এই অভিনেতা। চঞ্চল বলেন, ‘প্রতিদিনই টিভি, ওটিটি নানান মাধ্যমের কাজের চিত্রনাট্য পাই। বেশির ভাগ গল্পই আমাকে টানে না। দীর্ঘদিন মিডিয়ায় কাজ করে এসে এখন কেন আমি যেকোনো কাজ করতে যাব। আমি এখন কাজ না করতেও রাজি আছি, বাসায় থাকব, কিন্তু খারাপ বা মানহীন, চলনসই, কোনোমতো দর্শক খাবে—এ ধরনের কাজ করে সংখ্যা বাড়াতে চাই না।’
অবস্থানটা একটু বেশি কঠোর হয়ে গেল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে চঞ্চল বলেন, ‘দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এখন পরিণত বয়সে এসে উপস্থিত হয়েছি। এখন যে গল্প, যে চরিত্রে অভিনয় করব, সেটা যেন অন্য একটি প্রজন্মের জন্য থেকে যায়। দর্শক যেন দীর্ঘদিন পর্যন্ত কাজটি দেখেন। কাজ দিয়ে যদি বেঁচেই না থাকি, দর্শক আমাকে যদি মনেই না রাখেন, তাহলে এত ভূরি ভূরি কাজ করে কি লাভ? আমার কাছে সবার আগে এখন কাজের মান।’ মাসের ৩০ দিন অভিনয় করেন না চঞ্চল চৌধুরী। এই সময়ে কাজের জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। কী কী কাজ হাতে রয়েছে জানতে চাইলে চঞ্চল বলেন, ‘কাজে ক্ষেত্রে আমি সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে না। যে গল্পগুলো দেখে মনে হচ্ছে আমার সঙ্গে যায়, অভিনয়ের জায়গা আছে, গল্পটিতে দর্শক আমাকে নেবে, সেগুলোতেই চুক্তিবদ্ধ হচ্ছি। তকদিরের নির্মাতা সৈয়দ শাওকির ‘কারাগার’ ওয়েবে কাজ করব। তা ছাড়া গোলাম সোহরাব দোদুলের ১২০ পর্বের একটি ওয়েবে কাজ শুরু করেছি। নির্মাতা তানিম নূরের একটি ওয়েবে কাজ করব। সময় নিয়ে আমি প্রতিটি কাজ করতে চাই।’
চঞ্চল চৌধুরীর অভিনীত নাটক এবং সিনেমা গুলো দর্শক মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। এবং দেশ জুড়ে তার রয়েছে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী এবং জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি তার কাজ গুলো ভারতেও বেশ সাড়া ফেলেছে। এই জনপ্রিয় অভিনেতা দুইবার জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করতেও সক্ষম হয়েছেন।