Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Entertainment / আমি আর জীবনে এসব করব না, পুলিশের পোশাক পরব না: পুলিশের নিকট হিরো আলম

আমি আর জীবনে এসব করব না, পুলিশের পোশাক পরব না: পুলিশের নিকট হিরো আলম

আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বাংলাদেশের বিনোদন জগতের একটি ভিন্ন নাম। তিনি তার গান এবং অভিনয় দিয়ে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার গান কিংবা অভিনয় অনেকের নিকট গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়া শোবিজ অঙ্গনের অনেক নিয়মকানুন বা বিধিনিষেধ সম্পর্কে তিনি ওয়াকেবহাল নন, যার কারনে মাঝে মধ্যেই তিনি সমালোচিত হয়ে থাকেন। এদিকে তিনি কিছুদিন আগে রবীন্দ্র সংগীত এবং নজরুল সংগীত গান গেয়ে সেটি ভিডিও মাধ্যমে ছেড়ে দেন যা নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

এবার হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তিনি পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়েছেন যে, তিনি আর অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক, বিকৃত করে রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত গাইবেন না।

হাজারো অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ডাকে বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে হাজির হন হিরো আলম। সেখানে তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশিদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, হিরো আলমের বিরুদ্ধে ডিবির সাইবার ক্রাইম বিভাগে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ডাকা হয়।

হারুন বলেন, হিরো আলমের কথা আর কী বলব! পুলিশের যে ড্রেস, যে পেটার্ন, ডিআইজি, এসপি’র যে ড্রেস তা না পরে কনস্টেবলের ড্রেস পরে ডিআইজি, এসপি’র অভিনয় করছেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার শিল্পী সমিতিকে বলেন, পুলিশের ইউনিফর্মে অভিনয় করতে চাইলে অনুমতি নিতে হবে। তবে হিরো আলম শিল্পী সমিতির সদস্যও নন। অথচ তিনি অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক পরছেন। কনস্টেবলের সাজে, এসপি ডিআইজি হিসেবে অভিনয় করছেন। সেটা তিনি জানেনও না।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের যে কৃষ্টি-কালচার রয়েছে আমরা গান গাই-শুনি, রবীন্দ্র-নজরুল সঙ্গীত। কিন্তু হিরো আলম যেভাবে গান গায় তা বদলে দিয়েছে এই সব সংস্কৃতি। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, এসব কেন করেন? এরপর হিরো আলম আমাদের বলেন, জীবনে আর এমন করবো না। আমি আর পুলিশের ইউনিফর্ম পরব না। আমি কোনো রবীন্দ্র-নজরুল সঙ্গীত গাইব না।

হিরো আলম নামে পরিচিত, তিনি একজন বাংলাদেশী মিউজিক ভিডিও মডেল, অভিনেতা, গায়ক এবং সোশ্যাল মিডিয়া সমালোচক। ২০১৮ সালে, হিরো আলম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন।

ডিএমপির সাইবার ও বিশেষ অপরাধ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হিরো আলমকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়। মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে হাজির হওয়ার পর তাকে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষ পর্যন্ত দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত তিনি ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।

বন্ডে উল্লেখিত বিষয়গুলো হলো-

. অভিনয়ে কোনো বিশেষ বাহিনীর ইউনিফর্ম ব্যবহারের ক্ষেত্রে, এটিকে বিকৃতভাবে ব্যবহার ও উপস্থাপন না করে যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

. বাঙালি সংস্কৃতিকে ভুল বা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচার করা যাবে না।

. কোনো ব্যঙ্গাত্মক, মানহানিকর, অবমাননাকর বা হেয় প্রতিপন্নমূলক কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচার করা যাবে না।

. জনসাধারণের অসন্তোষ সৃষ্টি করে এমন কোনো কন্টেন্ট প্রকাশ করা যাবে না।

উল্লেখ্য, হিরো আলম সমালোচিত হলেও তার কিছু কিছু বিষয় মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে থাকে, যেটার সমর্থন দিয়ে অনেকে কথাও বলে থাকেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিলে পরাজিত হন। কিন্তু তিনি দাবি করেন, একজন নাগরিক হিসেবে তার নির্বাচনে অংশ নেয়ার অধিকার রয়েছে, এই বিষয়টি নিয়েও সমালোচিত হন তিনি।

About bisso Jit

Check Also

গোপনে বিয়ে করলেন তৌহিদ আফ্রিদি, জানা গেল কনের পরিচয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে যখন সারা দেশের মানুষ ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তখন বেশ নিরব ছিলেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *