ভারতের সিনেমা জগতের সফল ব্যক্তি রজনীকান্ত। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিনোদন জগতের সাথে যুক্ত রয়েছেন। এবং বেশ কয়েকটি ভাষায় নির্মিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত সিনেমা গুলো দর্শক মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। তিনি তার নিপুন অভিনয়ের জন্য অর্জন করেছেন ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। সম্প্রতি তিনি সিনেমা জগতের সর্বোচ্চ পুরষ্কার দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এই পুরষ্কার পেয়ে তিনি তার গুরুর কথা স্মরন করলেন।
সোমবার নয়া দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দাদাসাহেব ফালকে সম্মান তুলে দেওয়া হয় দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের হাতে। তার পরও মন খারাপে ডুবে রয়েছেন ‘থালাইভা’! রজনীকান্তের কথায়, ‘একইসঙ্গে আনন্দিত ও দুঃখিত আমি’। কিন্তু কেন এমন আনন্দে তার হৃদয় মুড়ে রয়েছে দুঃখের চাদর। দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে সে কথাও জানিয়েছেন অভিনেতা।
ভারতীয় সিনেমার জনক দাদাসাহেব ফালকের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর ফিল্ম জগতের বিশিষ্টদের এই বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়। ১৯৬৯ থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সত্যজিৎ রায়, রাজ কাপুর, গুলজার, বিনোদ খান্না, অমিতাভ বচ্চনদের মতো কিংবদন্তীদের এর আগে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। রজনীকান্ত জানিয়েছেন, তার জীবনের অন্যতম এই আনন্দের দিনে তিনি নিজের গুরু তথা প্রয়াত দক্ষিণী পরিচালক কে বালাচন্দ্রকে অত্যন্ত ‘মিস’ করছেন। দক্ষিণী তারকা বলেন, ‘ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোত্তম সম্মানে সম্মানিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি যারপরনাই খুশি। কিন্তু একইসঙ্গে এই মুহূর্তে আমি আমার গুরু কেবি স্যারকে বড্ড মিস করছি। তাই কোথাও না কোথাও মনটা বড্ড খারাপ হয়ে আছে।’
এই জনপ্রিয় অভিনেতা ভারতের তামিল সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন। “অপূর্ব রাগাঙ্গাল” তার অভিনীত প্রথম সিনেমা। এরপর তিনি অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এবং তার রয়েছে ব্যপক জনপ্রিয়তা ও অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী।