Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আমি আজকেও নির্দেশ দিয়েছি আন্দলোনকারীদের যেন গ্রেফতার বা ডিস্টার্ব করা না হয়: প্রধানমন্ত্রী

আমি আজকেও নির্দেশ দিয়েছি আন্দলোনকারীদের যেন গ্রেফতার বা ডিস্টার্ব করা না হয়: প্রধানমন্ত্রী

রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুর পর থেকে একের পর এক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ। শুরুর দিকে বিপুল পরিমাণে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ, তার রেশ না কাটতেই শুরু হয়ে যায় বৈদ্যুতিক সংকট যার জন্য শুরু হয় অসহনীয় লোডশেডিং। এরপর শুরু হয় জ্বালানি তেলের সংকট। যে বিষয়  নিয়ে সারাদেশে বিক্ষপ সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এবার এই চলমান বৈশ্বিক মন্দা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিরোধী দলের আন্দোলন হতে পারে। কিন্তু বাড়াবাড়ি করলে দেশের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে, সেটাও তাদের বোঝা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলসহ অনেকেই নানা কথা বলবে, সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু এসব কাজ বেশি করলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। তাদেরও এটা বোঝা উচিত।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, আমি জানি না তারা (বিএনপি) তাদের আন্দোলনে কতটা সফল হবে। কিন্তু তারা যেভাবে এটা করতে চায় তাতে দেশের আরও ক্ষতি হবে। কিন্তু আমরা এটা সামলাতে পারি, আমার বিশ্বাস আছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিরোধী দল সুযোগ পাচ্ছে, তারা আন্দোলন করুক। আমি আজকেও নির্দেশ দিয়েছি- যারা আন্দোলন করছে তাদের কাউকে গ্রেপ্তার বা বিরক্ত না করতে। তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করবে, আমি বললাম হ্যাঁ আসতে দিন। কারণ আমরা আন্তরিকভাবে দেশের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছি।

 

সরকার প্রধান বলেন, জনগণের দুর্ভোগ তার সরকার অর্জন করতে পেরেছে, তাই তিনি দুর্ভোগ কমাতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছেন।

 

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে দেশেও সমন্বয় হবে। দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুতের এ সমস্যা দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ববাজারে যখনই তেলের দাম কমবে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে সমন্বয় করব, এটাও আমার নির্দেশ।

 

বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে উৎপাদন কমানোর পাশাপাশি আমাদের বিদ্যুতের ব্যবহারকে সাশ্রয়ী করতে তার সরকার গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।

 

শেখ হাসিনা বলেন, হয়তো আরও কিছুদিন ভুগতে হবে। আমাদের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদন শুরু করলে বিদ্যুতের এই সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী আবারো উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, করোনা চলে গেলেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা জনজীবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, যার ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশ্বব্যাপী.

 

তিনি বলেন, রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শায়েস্তা সাধারণ মানুষ। শুধু আমাদের দেশ নয়, ইউরোপের দেশগুলো এমনকি আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ প্রতিটি মহাদেশের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। সব কিছুতেই এর প্রভাব পড়ে। এবং আমাদের কিছু লোক আছে, যারা অপ্রয়োজনীয়ভাবে জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়, এটি এমন কিছু। তা না হলে দাম এত বাড়ার কথা নয়।

 

তার সরকার জনগণকে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে আমাদের দেশ কখনোই সমস্যার সম্মুখীন হতো না। আমরা যেতে পারতাম. কারণ যেসব ক্ষেত্রে আমরা আমদানির ওপর নির্ভরশীল, সেখানে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

 

প্রধানমন্ত্রী অনেকটা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে লাভ কী? প্রকৃতপক্ষে কেউ যদি লাভবান হয়ে থাকে, তা হয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়া। বিশ্ববাজারে বেড়েছে ডলার ও রুবেলের মূল্য। দুবর্গা পরছেন সাধারণ মানুষ।

অন্যদিকে বাংলাদেশের এরূপ অবস্থায় বিরোধী দলের নেতারা বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।  তাদের একটাই দাবি বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। বিরোধীদলের অনেক দল একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন বলে জানা যায়।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *