পাবনার বড় উপজেলার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় এক গৃহবধূকে ধ*র্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম শফিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শফিক চাকলা আশ্রয়ন প্রকল্পের মুকা খার ছেলে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৩০) এক গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে তাকে ধ*র্ষণ করে। এ সময় আশপাশে লোকজন জড়ো হলে সে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরদিন রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চাকলা ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদারের নির্দেশে অভিযুক্তকে নাকে খত, জুতাপেটার পাশাপাশি এক হাজার টাকা জরিমানা করে মীমাংসা করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগীদের পরবর্তীতে কোনো মামলা বা ঝামেলা না করতেও হুমকি দেন চেয়ারম্যান।
নির্যাতিতার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “মাত্র এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমার স্ত্রীর ইজ্জত এক হাজার টাকা?সেখানে আমাকে অনেক ভয় দেখানো হয়েছে। চেয়ারম্যান বলেছে তু্ই যদি মামলা করিস তাহলে আমি বলে দেব তুই তোর স্ত্রীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাস। এজন্য আমি প্রথমে পুলিশের কাছে যায়নি। আমি আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ ও তামাসার ঘটনায় বিচার চাই।’
অভিযোগ অস্বীকার করে চাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার বলেন, উভয় পক্ষ আমার কাছে এলে স্থানীয় সদস্যদের সহায়তায় আমি সালিশ বৈঠক করি। সেখানে ধর্ষণের কোনো অভিযোগ ছিল না। তারপরও যেহেতু একজন নারীর ঘরে বিনা অনুমতিতে ঢুকেছিল সেজন্য আমরা তাকে (অভিযুক্ত) কান ধরে উঠবস করিয়েছি। কিন্তু কোনো জরিমানা করা হয়নি। যে ১ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে সেটা জরিমানা নয়, ওটা গ্রাম্যপুলিশদের খরচ হিসেবে দেয়া হয়েছে। তখন উভয় পক্ষ আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল। এখন তারা মানছে না।
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রশিদুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম শফিককে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।