গত কয়েক মাস ধরেই নানা আলোচনায় বাংলাদশ জাতীয় ক্রিকেট দল। গেল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লজ্জাজনক হারের মধ্য দিয়ে মূলত এ সমালোচনায় জড়িয়ে পড়েন টাইগাররা। আর এরপর সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের কাছ থেকে ক্রিকেট প্রেমি ভক্তরা যা আশা করেছিল, তার কিছুই দেখাতে পারেনি তারা।
বাছাই পর্বের শুরুতেই তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ডের সঙ্গে হেরে যায় টাইগাররা। পরাজয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরুর পর মূলপর্বের আগেই বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশ দল।
তবে পরের দুই ম্যাচে ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি। এরপর মূলপর্বে নিজেদের ৫ ম্যাচে শ্রীলংকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা হেরে শূন্য হাতে আমিরাত থেকে দেশে ফেরে বাংলাদেশ দল।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের এমন বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব আল হাসান বলেন, আমি এটা বুঝি যে আমরা যে প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্বকাপে গিয়েছিলাম, সেটা হয়নি।
বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ রানে আউট হন সাকিব। পরের দুই ম্যাচে ওমান ও পাপুয় নিউগিনির বিপক্ষে ৪২ ও ৪৬ রান করেন। বিশ্বকাপের মূলপর্বে তিন ম্যাচে শ্রীলংকা, ইংল্যান্ড ও ওয়েন্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০,৪ ও ৯ রানে আউট হন সাকিব।
বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচ ২১.৮৩ গড়ে ১৩১ রান আর বল হাতে সাকিব শিকার করেন ১১ উইকেট। বিশ্বকাপে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সাকিব বলেন, আমি চেষ্টা করেছি আমার জায়গা থেকে ভালো খেলার। কতটুকু খেলতে পারছি জানি না। তবে আমার চেষ্টা ছিল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল প্রত্যাশা মেটাতে পারল না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, দেখুন, আমি চেষ্টা করেছি আমার জায়গা থেকে ভালো খেলার। কতটুকু খেলতে পারছি জানি না। তবে আমার চেষ্টা ছিল। এখন আমার তো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে হাত ছিল না, দল নির্বাচনেও হাত নেই। কাজেই এ রকম প্রশ্ন আমাকে না করাই ভালো।
এদিকে বর্তমানে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স যে অবস্থানে রয়েছে, তাতে করে আগামীতে আরও বিপত্তিতে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। তাই এই জায়গা থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টাইগারদের উন্নতি করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। আর সেই অনুযায়ী চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন টাইগাররা।