প্রেমের কারণে প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা নানা ধরনের কান্ড ঘটিয়ে থাকেন যেখানে তারা লজ্জা কিংবা সম্মান ক্ষুন্ন করতেও দ্বিধা করে না। মাঝে মাঝেই সংবাদ মাধ্যমে দেখা যায় প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হয়েছেন প্রেমিকা। আবার অনেক সময় প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন। এবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটলো ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সোতাশী গ্রামে। বিয়ের দাবিতে এক এনজিও কর্মীর বাড়িতে অনশন করেছেন এক গৃহবধূ।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বোয়ালমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হক শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ওই বাড়িতে অনশন শুরু করেন তিনি। এ সময় অভিযুক্ত রকিব বিশ্বাস ঐ গৃহবধূর উপস্থিতি টের পেয়ে গা ঢাকা দেন।
অভিযুক্ত রকিব বিশ্বাস উপজেলার সদর ইউনিয়নের সোতাশী গ্রামের রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে। তিনি একজন এনজিও কর্মী।
অনশনরত গৃহবধূ বলেন, প্রায় ১২ বছর আগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে আমার বিয়ে হয়। আমার একটি ১০ বছরের ছেলে এবং একটি ৭ বছরের মেয়ে আছে। এসডিসি নামকে এনজিওতে কাশিয়ানীর জয়নগর শাখায় চাকরি করার সুবাদে প্রায় তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিভিণ্ন সময়ে মেলামেশার বেশ কয়েকটি ছবি তুলে, বিয়ের কথা বলে আমার কাছ থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা নেয়। এটা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী এই সম্পর্কের কথা জানার পর আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে আমি রাকিবকে বিয়ের কথা বললে সে টালবাহানা শুরু করে। বাধ্য হয়ে সোমবার থেকে তার বাড়িতে বিয়ের জন্য অনশন শুরু করেছি। কিন্তু রাকিবের বাড়িতে আসার পর সে পালিয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া তার পরিবারের সদস্যরাও ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রকিব বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হক শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বেশ কিছু দিন আগে ওই গৃহবধূ আমার কাছে অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রকিব সবকিছু মিথ্যা বলে দাবি করে। সোমবার গৃহবধূর অনশনের কথা জানতে পারি।
তিনি আরও বলেন, গতকাল অর্থাৎ সোমবার বিকেলে ঐ গৃহবধূ রকিবের বাড়িতে অবস্থান করে অনশন শুরু করেছেন। তিনি বিয়ের দাবিতে অনেকটা অনড় রয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। রাকিব এবং রাকিবের বাড়ির সদস্যরা কেউই বাড়িতে। ঐ মেয়েটি আমাকে মোবাইলে কল করছিল, তিনি বিষয়টি আমাকে জানান। সেখানকার মেম্বরকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি, আমার ব্যস্ততা কমলে সেখানে যাব।