বাংলাদেশের ছোট পর্দার জনপ্রিয় এক অভিনেত্রীর নাম মুমতাহিনা টয়া। দীর্ঘ দিন ধরেই বাংলাদেশে ছোট পর্দায় কাজ করে আসছেন তিনি বেশ সফলতার সাথে। সম্প্রতি তিনি কথা বলছিলেন জীবনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তারকাদের আবেগে অনুভূতি আর সম্পর্ক নিয়ে। তিনি বলেন,সম্পর্ক মিষ্টি এবং টক রসায়ন হয়. এতে যেমন সুখের অনুভূতি আছে, তেমনি আছে দুঃখ-লজ্জার পর্বও। আর সম্পর্কটা যদি স্বামী-স্ত্রীর হয়, তাহলে দুটো জিনিসের বাড়াবাড়ি আছে। তারকারাও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নন।
তারকাদের সংসারেও ঝড়ঝাপটা আসে, কেউ সামাল দেয়, কেউ ঝড়ের গতির সাথে সম্পর্ক হারিয়ে ফেলে। তবে ছোট পর্দার অভিনেত্রী মুমতাহিনা টয়া মনে করেন, কাজ ও সংসারের গুরুত্ব বুঝতে পারলে সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। তার মতে, যেকোনো পরিবারেই ঝগড়া লেগেই থাকে।
টয়া আরো বলেন , ‘আমি যদি বলি আমার পরিবারে কোনো সমস্যা নেই, আমি শতভাগ সুখী পরিবারে বসবাস করছি, এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার হবে না। এমনকি একজন সাধারণ দম্পতিরও কিছু সমস্যা রয়েছে। এক ছাদের নিচে দুইজন মানুষ বাস করে, নকিং লাগবে। এটা খুবই স্বাভাবিক।’
টয়া বিশ্বাস করেন যে তারকাদের ক্ষেত্রে ঝামেলা অন্য জায়গা থেকে উদ্ভূত হয়। বললেন, ‘দেখুন আমি নায়িকা, আমার স্বামী নায়ক। আমি যখন শুটিং সেটে যাই, একজন নায়িকা যতটা মনোযোগ পায় নায়কের। দুজনেই একই স্তরে। আমার কাছে মনে হয়, কেউ কাউকে ছাড় দিতে চায় না। প্রত্যেকেই নিজের জায়গায়, নিজের সিদ্ধান্তে শক্তিশালী হতে চায়। রিল জগতে যে ভিন্ন ব্যক্তিত্ব বিদ্যমান, আমরা প্রায়শই বাস্তব জগতে বাস করি। আমরা ভাবি, আমি একজন! আমার সাথে এমন হবে কেন! আপনার এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।
টয়ার ভাবনায়, সাধারণ মানুষ তাদের তারার উৎপত্তিস্থল একই। তিনি বলেন, “আমরা মানুষ। আমাদেরও স্বাভাবিক মানুষের মতো আবেগ আছে, আমাদেরও ঈর্ষা, অহংকার সমস্যা আছে। আমাদের নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে। আমি যদি দেখি আমার সঙ্গী আমার চেয়ে অনেক ভালো কাজ করছে, পেছনে পেছনে কাজ করছে, আমি কিছুই করছি না। লোকেরা পছন্দ করে; কিন্তু তখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব। এর থেকে আমি আমার স্বামীর সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারি বা আমি যেখানে কাজ করি তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারি। সেজন্য আমাকে নিজেকে বোঝাতে হবে যে আমি সত্যিই কোথায় আছি, আমার সঙ্গী কোন অবস্থানে আছে।’
তারকা দম্পতিদের মধ্যে জটিলতা তৈরিতে শোবিজ জগতেরও কিছুটা প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন টয়া। তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রি এমন যে আমরা যাদের সঙ্গে কাজ করি, তাদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাই। নায়ক যদি বারবার কোনো নায়িকার সঙ্গে কাজ করতে থাকেন তাহলে ঘরের বউ একটু কষ্ট পেতে পারে। আমাদের পারিপার্শ্বিকতা এমন যে তা আমাদের অনেক কিছু ভাবায়। কিন্তু এ নিয়ে আমাদের নিজেদের সঙ্গে মানসিক যুদ্ধ চলছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিনের প্রেমের পরে বাংলাদেশের ছোট পর্দার আরেক জন প্রিয় অভিনেতা শাওনকে বিয়ে করেন টয়। আর সেই থেকেই তাদের সম্পর্কের সুবাতাস বইছে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরেই। আর এ ভাবেই তারা থাকতে চান এক সাথে সব সময়।