Friday , December 27 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আমার যা সক্ষমতা ছিল, আমি পুরোটা ব্যবহার করছি: ব্যারিস্টার সুমন

আমার যা সক্ষমতা ছিল, আমি পুরোটা ব্যবহার করছি: ব্যারিস্টার সুমন

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সরকার, প্রতিষ্ঠান কিংবা কোনো ব্যক্তির অসামঞ্জস্যতা নিয়ে সমালোচনা করা একজন ব্যক্তিত্ব। শুধু তাই নয় তিনি মানুষের উপকারে এগিয়ে এসে বিশেষ পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি তার পিতা-মাতার নামে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন। এবার সিলেটে যে ভ”য়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য সবাইকে সাহায্যে নিয়ে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন।

সিলেট-সুনামগঞ্জে মহাজাগতিক বিপর্যয় চলছে মন্তব্য করে সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সুমন। শনিবার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থেকে ফে/’স”বুক লাইভে তিনি এ আহ্বান জানান।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ”আমি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকায় দাঁড়িয়ে আছি। এখানে এখনো বন্যা হয়নি। সিলেটে কি হচ্ছে আল্লাহই জানে। সিলেটে তিন-চারদিন থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জনগণকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করব।”

তিনি বলেন, “মানুষকে খাওয়ানোর চেয়ে উদ্ধার করা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।” আমি আমার পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করছি। আপনি জানেন, সে/নাবাহি”নী ইতিমধ্যে নেমে পড়েছে। তবে আমি মনে করি আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি আমার পিতা-মাতার নামে এরশাদ-আম্বিয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। সিলেট-সুনামগঞ্জে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির সকল ফুটবলাররা আপনাদের সহযোগিতা নেওয়ার পর সেগুলো সিলেটের বন্যার্ত মানুষের নিকট পৌছে দিবে। আমরা আপনাদের প্রতিটি সাহায্য পাঠাবো তাদের নিকট।

সুমন বলেন, একটা কথা বলতে চাই, ৪২ বছরের ইতিহাসে এত বড় বন্যা সিলেটের মানুষ দেখেনি। আমি প্রবাসীদের অনুরোধ করবো। পুরো সিলেটবাসী আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। আপনারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। এটি একটি মহাজাগতিক বিপ/’র্যয়। মানুষ হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করছি।

উল্লেখ্য, টানা ভারী বর্ষ”ণ ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়া/ব’হ বন্যার সাক্ষী এই দুই জেলা। লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হচ্ছে। দুই জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

অধিকাংশ এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতায় আটকা পড়েছেন বহু মানুষ। বন্যা কবলিত এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে পানি প্রবেশ করায় সেবা ব্যাহত হচ্ছে। যানবাহনের অভাবে অনেক অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে যেতে পারছে না। শহর ও গ্রামের প্রায় সব সড়কই পানিতে তলিয়ে গেছে।

সিলেটে হাসপাতাল এবং অন্যান্য চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে পানি প্রবেশ করার কারণে সেখানে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারছেনা চিকিৎসকেরা। যানবাহনের অভাব এতটা প্রকট হয়েছে যে, সামান্য দূরত্ব যেতেও কয়েক হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে, যার কারণে হাসপাতালে যেতে পারছে না মানুষ। শুধু সিলেট শহর নয়, গ্রামগুলোতেও বেশিরভাগ সড়ক এখন পানির নিচে, যার কারণে একটি ভ”য়া/বহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

About bisso Jit

Check Also

খেজুরের রস পান করতে এসে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, গ্রেফতার ১৫

নেত্রকোনা থেকে খেজুরের রস খেতে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া আসা ১৫ যুবক ‘জয় বাংলা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়ায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *