রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও তার স্ত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশা ‘অসম’ বিয়ের কারণে আলোচনায় রয়েছেন।
সম্প্রতি তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম তাদের বিয়ে নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের মুখোমুখি হন ফেসবুক লাইভে। যেখানে তার দাবি, ব্ল্যাকমেইল করে মেয়েকে বিয়ে করেছেন তিশা।
তিনি বলেন, ‘আমি এটাকে বিয়ে বলি না। এটাকে বিয়ে বললে ভুল হবে। তাকে (তিশা) ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। অশ্লীল ভিডিওর মাধ্যমে তাকে জিম্মি করে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। আমার মেয়ে তিশা মেডিকেল বোর্ডের সামনে জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি বলেন, তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। অশ্লীল ছবি ও ভিডিও করে কাবিননামায় স্বাক্ষর করতে বলে। রাজি না হলে তাকে বলা হয় এগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হবে, টিসি দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হবে। তিনি (মোশতাক) কাবিননামায় স্বাক্ষর করেছেন এবং এখন এটি বিবাহ হিসাবে চালিয়ে যাচ্ছেন।’
সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে যখন আইডিয়াল স্কুলের মুগদা শাখার দশম শ্রেণির ছাত্রী তখন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রেমে পড়ে। এরপর থেকে সে (মোশতাক) আমার মেয়েকে দত্তক নেওয়ার চেষ্টা করে। এরই অংশ হিসেবে তিনি আমার মেয়েকে তার মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। মোশতাকের মেয়ের নাম তানমিমা। আমার মেয়ে তার সাথে বন্ধুত্ব করেছে। তখন সে তার মেয়ের মাধ্যমে আমার মেয়ের জন্য টাকা খরচ করতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘মুশতাক একটি ছেলেকে একদিনের জন্য ভাড়া করে। সেই ভাড়াটে ছেলের সাথে আমার মেয়ের ছবি তোলার জন্য মোশতাক। এভাবে অন্তত ১০-১২ জনের সঙ্গে আমার মেয়ের অশ্লীল ছবি তোলে। এরপর ওই ছবি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে। বিয়ের সনদে স্বাক্ষর করেছিলেন মোশতাকের বাড়ির চাকর।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মোস্তাক আমার মেয়ের সঙ্গে মতিঝিল আইডিয়াল কলেজের কক্ষে নেচেছে। এমনকি কলেজের অধ্যক্ষও এ দায় এড়াতে পারেন না। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব কাজ কিভাবে হয়? মোশতাক অধ্যক্ষের ভালো বন্ধু। তাই তিনি প্রিন্সিপালের সাহায্য নেন। এরপর প্রিন্সিপাল আমার মেয়েকে ক্লাস থেকে ডেকে তার রুমে নিয়ে যান। ওরা আমার মেয়েকে এভাবেই ফাঁসি দেয়।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ একই কলেজের ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। তারা জানান, ভালোবেসেই তারা একে অপরকে বিয়ে করেছেন। তাদের বিয়ের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।