ভালোবাসার মানুষের সাথে অন্য এক মেয়ের ঘনিষ্ট ছবি দেখে রীতিমতো মানধিকভাবে ভেঙে পড়েন তয়না আক্তার নাম এক কলেজছাত্রী। আর এ অবস্থায় রাগে-অভিমানে ঘটনার দিন রাতেই সি’লিং’য়ে ঝু’লে আ’ত্ম’হ’নন করেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে শরীয়তপুরের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটে গ্রামে বেঁধে চাঞ্চল্য দেখা দেখিয়েছে।
জানাজায়, হঠাৎ ভোরে বিড়ালের ডাকে বাড়ির সবার ঘুম ভেঙে যায়। বিড়ালকে থামাতে সেই ঘরে ছুটে গিয়েই দেখতে পায় এ কাণ্ড। এ সময় অভিভাবকদের চিৎকারে আশপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে লা’শ’ উদ্ধার করে ম’য়’না’ত’দন্তের জন্য ম’র্গে পাঠানো হয়েছে।
পরিবার জানায়, একই কলেজের নয়নের সঙ্গে তায়নার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নয়নের সাথে অন্য মেয়ের ছবি দেখার পর তার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সে আ’ত্ম’হ’নন করেছে।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তায়না ও নয়নের মধ্যে তিন বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তাদের মধ্যে কথা কা’টাকাটি হলে নয়ন আরেকটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। রাতে কেউ একজন নয়নকে মেসেঞ্জারে অন্য মেয়ের অ’ন্তর’ঙ্গ ছবি পাঠায়। ছবি দেখার পর রাতে বন্ধুদের টে’ক্সট করে আ’ত্মহ’ন’ন করেন তিনি।
নিহতের বাবা নুরুজ্জামান ফকির বলেন, “গত রাতে নয়ন আমার মেয়েকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সে বলে, ‘টাইম পাস করার জন্য তোমার সাথে এতদিন সম্পর্ক করেছি। তুমি একজন ড্রাইভারের মেয়ে, খারাপ মেয়ে।’ ‘আমার সোনার টুকরো মেয়েটি এভাবে চলে যাবে জানলে সারারাত পাহারা দিতাম। আইনের মাধ্যমে আমি ওই নয়নের বিচার চাই। ”
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পালং থানার ওসি মো. আখতার হোসেন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ময়’নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃ’তদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।