Friday , November 22 2024
Breaking News
Home / National / আমার মতো কাউকে যেন চোখের পানি ফেলতে না হয়, যতক্ষণ আছি এর জন্য যা দরকার করবো

আমার মতো কাউকে যেন চোখের পানি ফেলতে না হয়, যতক্ষণ আছি এর জন্য যা দরকার করবো

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে সাথে সর্বদা ভেবেছেন কিভাবে দেশের অপরাধ দমন করা যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অনেক অপকর্মের বিচার হয়না কিংবা হতে অনেক দেরি হয়। আসলে যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে বিচার চায় তারা যদি সুষ্ঠু বিচার না পায় তখন যে কষ্টটা হয় সেটা প্রধানমন্ত্রী ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারেন। তাইতো তিনি বলেছেন কারো যেন চোখের পানি যেন না পড়ে যেন সকলে সুষ্ঠু বিচার পায়। বিচারকদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বিচারের জন্য কাউকে যেন চোখের পানি ফেলতে না হয়। তার সরকার এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সুবিধা নিশ্চিত করবে।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ’ ও ‘বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড জুডিসিয়ারি’ শীর্ষক বাংলা ও ইংরেজিতে মুজিব স্মারক গ্রস্থ এবং ‘ন্যায়কণ্ঠ’ শীর্ষক মুজিববর্ষের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ন্যায় বিচার মানুষের প্রাপ্য। সেটা যেন সবসময় পায় সেটা আমরা চাই। কারণ আমরা ভুক্তভোগী। তাই আমরা জানি বিচার না পাওয়ার কষ্টটা কী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যারা ১৫ই অগাস্টে সব হারিয়েছিলাম, আমার মতো বাবা-মা হারিয়ে যেন কাউকে বিচারের জন্য চোখের পানি ফেলতে না হয়। সেটাই আমরা চাই। সেটা আপনারা নিশ্চিত করে দেবেন। আর আমি যতক্ষণ সরকারে আছি এর জন্য যা যা দরকার আমরা করবো।

তিনি গণভবন থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের মূল অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরার পাশপাশি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের বিয়োগান্তক অধ্যায় তুলে ধরে দীর্ঘদিন বিচার না পাওয়ার জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

ছয় বছর প্রবাসে জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়ার পর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলে দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে ‘ইনডেমনিটি অ্যাক্ট’ বাতিল করে জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম হয়।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলে বহু বছর বিচার না পেয়ে মনে অনেক দুঃখ ছিল। যা হোক, এই হত্যার বিচার পেয়েছি। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার রায় কার্যকর হওয়ায় বিচার বিভাগ, দল ও দেশবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে এখন আরেকটা দায়িত্ব রয়ে গেছে। চক্রান্তটা খুঁজে বের করা। এটা একদিন বের হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অ্যাপিলেট ডিভিশনের বিচারপতি এবং স্মারক গ্রন্থ এবং স্মরণিকার সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান স্বাগত বক্তব্য দেন।

মুজিব স্মারক গ্রন্থ এবং স্মরণিকার ওপর অনুষ্ঠানে ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রচারিত হয়।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ ’৭৫ এর ১৫ই আগস্টের সব শহিদ এবং বিজয়ের এই মাসে সব মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। অনেকদিক থেকেই ন্যায় বিচার এর প্রমাণ তিনি রেখেছেন। তবে কিছু জায়গাতে এখনো অনেক ঘাটতি থেকে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে হয়তো এইবার সেই ঘাটতি গুলো পূরণ হতে যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয় পরবর্তীতে বিচারকার্যের জন্য কাউকে কাঁদতে হয় কিনা।

About Ibrahim Hassan

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *