খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ইঞ্জিনিয়ার থেকে রাজনীতিবিদ। তিনি একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী ছিলেন। ফরিদপুর জুড়ে ছিল খন্দকারের শাসন। তার কথাই ছিল শেষ। এরপর আর দাড়ি, সেমিকোলন, কিছুই ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করেই সব বদলে গেল। একদিন রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন পুরো রাজ্যটাই হারিয়ে গেছে। তার অধিকাংশ সহযোগী কারাগারে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অবস্থান করছেন।
সেখান থেকে কথা বলেছেন মানবজমিনের সঙ্গে। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমাদের রিপোর্টার শরিফ রুবেল। নানা ইস্যুতে খোলামেলা কথা বলেছেন বহুল আলোচিত এই সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা।
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচন নিয়ে ভাবনার কোনো কারণ নেই। আমি কি নমিনেশন পাবো? আমার মতো একজন অক্ষম, অখ্যাত, যার কোনো বংশ পরিচয় নাই, কোনো অবস্থান নাই সে কীভাবে নৌকার মনোনয়ন পাবে? আমি চিন্তা করি আমার মতো অযোগ্য লোক নমিনেশন পাবে না। এটাই ধরে নিয়েছি। আমার যদি চাওয়া লাগে, তাহলে সেই নমিনেশন আমার দরকারটা কি? আমাকে চেয়ে নিতে হবে কেন? যদি দল মনে না করে যে আমাকে দিতে হবে। তাহলে চেয়ে নিতে হবে কেন? চেয়ে নিতে হলে এমন নমিনেশন দিয়ে কি করবো? ৩০ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে তারপরে আবার হাতে-পায়ে ধরে নমিনেশন নিতে হবে? আমি কি এতটা খাটো অবস্থায় আছি? আমি যদি বুঝতে পারি যেকোনো মতে আমাকে নিয়ে দলের সংশয় আছে। তাহলে আমার নিজেরই উচিত হবে সরে যাওয়া। দূরে চলে যাওয়া। আমার কি ফরিদপুরে খুব বদনাম? সবাই কি আমার বদনাম করে? আপনি ফরিদপুরে এমন একজন লোকের নাম বলেন যে, আমার ধারে কাছে আছে। এমন একজনের নাম বলেন যে, আমার সঙ্গে টিকে থাকতে পারবে। সব সময় সম্মানের সঙ্গে রাজনীতি করছি। ফরিদপুরের যেকোনো একটা লোকের কাছে আমার নাম ধরে জিজ্ঞাসা করলে দেখবেন আমাকে নিয়ে কতোটা আবেগঘন কথা বলে। সবাই আমাকে ভালো জানেন, ভালোবাসেন। তারপরেও সাংবাদিকরা মনে করে আমি শালা কুত্তার বাচ্চা।