আমি অপরাধী নই। আমি সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। আমার আগের কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। আমার বয়স ৭৪। এই বয়সে আমার রিমান্ড চান। আমাকে ছেলের বয়সীরা রিমান্ডে নিয়ে মানসিকভাবে হেনস্তা করতে চায়। এর চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে? এমন কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর।
রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটের যাত্রী ছাউনির সামনে বাসে আ/গুন দেওয়ার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আইনজীবী শাহজাহান ওমরকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সাইরুল ইসলাম।
এদিকে শাহজাহান ওমরের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। আর রাষ্ট্রের কাছে জোরালোভাবে তার রিমান্ড দাবি করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রশিদুল আলম তার জামিন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শাহজাহান ওমর আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, দেশ স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। আমি আজ এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িনোর জন্য কি যুদ্ধ করেছি। আমি নিজের গ্যারান্টার হতে চাই। আপনি যে শর্ত দিবেন মানবো। আমি আমার জামিন চাই।
শুনানিতে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, এজাহারে তার নাম নেই। শাহজাহান ওমরকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আইনমন্ত্রী ছিলেন। গাড়ি পোড়ানোর মামলায় তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে। কেন তাকে রিমান্ডে নিতে হবে?
জানা গেছে, শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিউমার্কেট থানাধীন গাউছিয়া মার্কেটে যাত্রী ছাউনির সামনে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এতে বাসটির ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় বাসের চালক নিউমার্কেট থানায় মামলা করেছেন। শনিবার ভোরে রাজধানীর একটি বাসা থেকে আইনজীবী শাহজাহান ওমরকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।