বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে মারধর ও লাথি মেরে গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগে এবার স্ত্রীর করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন স্বামী সুজন বাবু। জানা গেছে, দিনের পর দিন নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আজ মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) নিজে বাদী হয়ে থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন স্ত্রী জাফরান। আর এ মামলার আলোকে অভিযান চালিয়ে ওই গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর তাকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলাসূত্রে প্রকাশ, দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজারের মৃত জিল্লুর রহিমের মেয়ে জাফরান আরার সঙ্গে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নবাবগঞ্জ উপজেলার লাউগাড়ি গ্রামের তাজউদ্দিনের ছেলে সুজন বাবুর (৩২) বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় জাফরানের বড় ভাই উপঢৌকন স্বরূপ পাঁচ লাখ টাকা ও তিন লাখ টাকার আসবাবপত্র প্রদান করেন। বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি এসে স্ত্রী জাফরান জানতে পারেন তার স্বামী সুজন বাবু ইতিপূর্বে আরও ২-৩টি বিয়ে করেছেন।
বিয়ের পর থেকে সুজন বাবু তার বাবা ও মায়ের প্ররোচনায় আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে জাফরানকে মাঝে মধ্যে মারপিট করে আসছিলেন। মারপিটের একপর্যায়ে পেটে লাথি মেরে স্ত্রীর গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট করে ফেলেন। স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে জাফরান আরা নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
বাদী জাফরান আরা বলেন, আমার বিয়ের আগে সুজন আরও তিনটি বিয়ে করে এবং বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এসব গোপন রেখে সে আমাকে বিয়ে করে প্রতারণা করেছে।
এদিকে স্বামী বাবুর বিরুদ্ধে করা স্ত্রী জাফরানের করা মামলায় আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আকতারুল কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত বাবুকে গ্রেপ্তার করে এরই মধ্যে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।