বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তপ্ত ছিল দেশের রাজনৈতিক মাঠ। পরদিন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের পর ‘আগুনে ঘি ঢালার’ মতো রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
একদিকে সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার চলছে। অন্যদিকে এর প্রতিবাদে টানা তিন দিন হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো।
সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সম্প্রতি দেশের বর্তমান রাজনীতির সমসাময়িক বিষয় নিয়ে একটি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়েছেন।
টকশোর একপর্যায়ে ব্যারিস্টার রুমিনকে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, টেক ব্যাকের নামে বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে কিনা?
জবাবে ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, আমি এখন আপনার টকশোতে কথা বলছি, ঠিক সেই মুহূর্তে আমার বাসার নিচে ১০০ জনের মতো আওয়ামী গুণ্ডা জড়ো হয়েছে। যারা বীভৎস ভাষায় গালাগাল করছে। আমার বাসার দিকে ইঙ্গিত করে। আমাকে এই মাত্র বাসার লোকজন ভিডিও করে পাঠাল। একই সঙ্গে আমাকে মেসেজ দিল— আপনি সাবধানে বাসায় আসবেন। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, তারা আমাদের সাধারণ সম্পাদককে আটক করেছে। শুধু তাই নয়, শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি ও ভাংচুর ও স্বজনদের গ্রেপ্তার করছে। যারা কখনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। আমি একজন নারী রাজনৈতিক কর্মী। আমি একজন নারী রাজনৈতিক কর্মী। আমার বাসার নিচে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নোংরা ভাষায় গালাগাল করছে— এটা কোনো সভ্য দেশের রাজনীতি?
টকশোর একপর্যায়ে উপস্থাপক বলেন, পুলিশ বলছে শুধু সহিং’সতার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, তাহলে আওয়ামী লীগের সবাইকে আগে গ্রেফতার করতে হবে। হামলা হয়েছে পুলিশের হাসপাতালে অর্থাৎ পুলিশের জায়গায়, পুলিশের যে গাড়িতে রিকুইজেশন দেওয়া ছিল, সেই গাড়িতে। গাড়ির ড্রাইভার বলছে— ডিবির পরিহিত পোশাকে আগুন লাগিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সব কিছু বহন করার সুযোগ পেয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগের কোনো গাড়ি বা বাড়ি তল্লাশি করা হয়নি। কিন্তু বিএনপির ক্ষেত্রে পুলিশ কোণে কোণে, ঘরে ঘরে তল্লাশি করেছে। তা হলে বিএনপির কি করে সংঘর্ষের জিনিস নেবে। পুলিশ পিটিয়েছে কে? কারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে? পুলিশের টিয়ারশেলে একজন সাংবাদিক নিহ”ত হলেও তাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।
তিনি আরও বলেন, খুবই বিচিত্র ঘটনা- বিএনপির মহাসমাবেশে যুবলীগের কর্মী পাওয়া গেছে। তাহলে আপনি বিষয়টি বুঝে নেন। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে? ঘটনার সাথে কারা জড়িত?