ক্ষমতাসীন দলের অন্যতম ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে একজন একেএম শামীম ওসমান। তিনি বর্তমান নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। মাঝে মধ্যেই জনগণের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত নানা ঘটনা শেয়ার করে থাকেন তিনি। আর সেই ধারাবাহিতায় এবার এক জীবনের অনেক কষ্ট-দুঃখের কথা তুলে ধরলেন গুণী এই নেতা।
আমার বাবা একেএম সামসুজ্জোহাকে খুনি মোশতাক তার মন্ত্রী পরিষদে যোগ দিতে বলেছিল কিন্তু তিনি তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং গ্রেফতার হয়েছিলেন। আমরা ১ বেলা খেয়েছি, ৯শ টাকার জন্য কলেজে ফরম ফিলাম করতে পারিনি। আমার বাবা একটি টাকাও রেখে যাননি বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
তিনি বলেন,এখন এত মুখোশ পরা মানুষ, এত নেকাব পরা মানুষ, সেই মুখোশের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা বীভৎস চেহারা যখন দেখি তখন আতঙ্কিত হই।
আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধু যেদিন দেশে ফিরে এসেছিলেন তখন বেঈমান মোশতাক কী সুন্দর কান্না করছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন তাজউদ্দীন চান নাই আপনি দেশে ফিরেন। সেই মুখোশ পরা লোকগুলি আমাদের আশেপাশেই আছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর পুরাতন কোর্ট এলাকায় অবস্থিত পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শামীম ওসমান বলেন, সততার কোনো রূপ বা চেহারা যদি থাকে সেটি হলো আমার নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আমি সৎ মানুষগুলোকে বেশি ভালোবাসি কারণ আমি একজন সৎ মানুষের ঘরে জন্মেছি। আমার দাদা খান সাহেব ওসমান আলী ১৯২২ সালে রোলস রয়েস গাড়ি কিনেছিলেন। আমার প্রয়াত বড় ভাই নাসিম ওসমানের বিয়ের রাতে ছিলেন প্রয়াত শেখ কামাল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নববধূকে রেখে আমার ভাই নাসিম ওসমান চলে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে।
এদিকে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে (নাসিক) কেন্দ্র করে গত বেশকিছু দিন ধরেই রয়েছেন নানা আলোচনায়। এরে আগে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠানে তার আসার কথা থাকলেও, তিনি সেখানে না যেতে বরং সোজা চলে যান কবর জিয়ারত করতে। আর এরই ধারাবাহিকতায় অনেকেই মনে করছেন, হয়তো আইভীর সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারনে তিনি ঐ বৈঠকে যাননি!