বলিউডের অন্যতম ‘ফ্যাশান আইকন’ উর্ফি জাভেদ। এই নামটির সঙ্গে হয়তো সকলেই পরিচিত। খোলা-মেলা পোশাক পড়া নিয়ে মাঝে মধ্যেই সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসে তার নাম। এদিকে গত ১৫ অক্টোবর ২৫-এ পা দিয়েছেন তিনি। নিজের জন্মদিনে অনেক সেলিব্রিটিদের আমন্ত্রণ জানান তিনি। সকলের উপস্থিতিতে জন্মদিনের কেক কাটেন তিনি।
কিন্তু আজ জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও উরফির যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না। একবার তার নিজের বাবা তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল। উরফি জাভেদ নিজেই একবার সেটাকে সামনে এনেছিলেন।
উরফির কথায়, ‘এই যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না, কারণ আমার পাশে আমার পরিবার ছিল না। আমার ছবি একটি প্রাপ্তবয়স্ক সাইটে পোস্ট করা হয়েছিল যখন আমার বয়স ছিল ১১ বছর। আমার পরিবারই একবার আমার দিকে আঙুল তুলেছিল। স্বজনরা ধরে নিয়েছিলেন, আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নজর রাখলে হয়তো কোটি টাকা পাওয়া যাবে। টানা দুই বছর বাবা আমাকে ‘শারী”রি’ক ও মানসিক নি’র্যা”ত’ন করে। লোকে আমাকে এমন খারাপ শব্দে ডাকতো, যে নিজের নামটাই ভুলতে বসেছিলাম, আমি যেভাবে কাটিয়েছি, তা যেন কোনও মেয়ের সঙ্গে না ঘটে।’
উরফি বলেন, ‘আমার বাবা একটা আস্ত শয়তান, আমাকে একা পেয়ে ‘যখন অ’ত্যা”চার করতেন, তখন আমার কথা বলার অধিকারও ছিল না। আমাকে সবসময় বলা হতো, এই ধরনের মেয়েদের কথা বলার অধিকার নেই, শুধু পুরুষরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যখন আমি বাড়ি ছেড়েছিলাম, তখন আমি নিজেকে পরিবারের থেকে অনেক দূরে নিয়ে চলে যেতে চেয়েছিলাম। তবে এখন আমি নিজের পরিচিতি তৈরি করেছি এবং আমি আর থামবার পাত্রী নই।’
উরফি জানিয়েছিলেন যে তিনি যখন বাড়ি ছেড়েছিলেন তখন তার সাথে আরও দুই বোন ছিল, অভিনেত্রী তার বাবা-মা এবং আরও দুই ভাইবোনকে রেখে বাড়ি ছেড়েছিলেন। তিনি উত্তর প্রদেশে তার বাড়ি থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন এবং একটি পার্কে প্রায় ১ সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন। তারপর তার তিন বোন একসাথে চাকরি খুঁজতে থাকে, ভাগ্যক্রমে উরফিও একটা কল সেন্টারে চাকরি পেয়ে যায়।
একপর্যায়ে দিল্লি ছেড়ে মুম্বইতে চলে আসেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করে তার। ‘তেরিমেরি ফ্যামিলি’ নাম একটি ধারাবাহিকেও কাজ করার সৌভাগ্য হয় তার। এরপর আর কখনো পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তার।