আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এবং ‘চাইম’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর গ্রিন রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
মৃত্যুর আগে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন গায়ক। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গায়ককে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তার কিশোর সন্তান জুয়াইফা আরিফ স্কুলে ছিল। ঢাকা থেকে প্রায় আট হাজার মাইল দূরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের একটি স্কুলে পড়েন তিনি। সেখান থেকেই বাবার মৃত্যুর খবর পান জুয়াইফা আরিফ। প্রিয়তমা স্ত্রীও নিউইয়র্কে।
মাত্র কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন খালিদ। এ সময় তিনি হয়তো সন্তানের কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন, আবার দেখা হবে। এটাই শেষবার নয়। ‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত এই গায়ক হয়তো সন্তানের মতো দেখতে পাবেন স্ত্রীকেও বলে এসেছিলেন আবারও দেখা হবে।
স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলবেন কি না তা নিয়ে তর্ক করবেন না- প্রিয়জন ও তারকা হারানোর শোকে এখন সবার মন। অনেকেই এই গায়কের জন্য দোয়া করছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ছেলে জুয়াইফা আরিফ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।আপনারা আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। মাফ করে দিয়েন তাকে।
সোমবার রাতে বরেণ্য শিল্পীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জে। এর আগে রাতে ঢাকার গ্রিন রোডের জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আর মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
তিনি ১৯৮১ সালে সঙ্গীত জগতে শুরু করেন। ১৯৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন। সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই- এর মতো অনেক জনপ্রিয় গান গেয়ে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নেন।